ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন লাগা অভিযান-১০ লঞ্চটি বুঝে পেয়েছেন লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখ।
মামলার আলামত হিসেবে ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের হাতে জব্দ এই লঞ্চ শনিবার বুঝে পান তিনি।
এর আগে গত ২৪ জুলাই এ নিয়ে আদেশ দেয় আদালত। ওই আদেশের কপি নিয়ে থানায় জমা দেন লঞ্চ মালিক।
থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত জিম্মানামার মাধ্যমে আগুনে পোড়া লঞ্চটিকে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার তৎকালীন তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান নিউজবাংলাকে ফোনে বলেন, ‘লঞ্চটি মালিক এসে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় বক্তব্য দেয়ার কোনো বিষয় নেই।’
এর আগে এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটিতে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর ঝালকাঠি সদর থানায় একটি মামলা করেন লঞ্চের নিখোঁজ যাত্রীর স্বজন ঢাকার ডেমরার বাসিন্দা মো. মনির হোসেন।
ওই মামলায় অভিযান-১০ লঞ্চটি তখন জব্দ করেছিল ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশ। ঘটনার কয়েকদিন পর ঘাট থেকে সরিয়ে সুবিধাজনক স্থান হিসেবে সুগন্ধা পাড়ের ডিসিপার্ক এলাকায় লঞ্চটি বেঁধে রাখা হয়।
পরে থানায় হওয়া মামলাটি ঢাকা নৌ আদালতে স্থানান্তর করে ঝালকাঠির একটি আদালত। বেশ কয়েক মাসের আইনি প্রক্রিয়া শেষে চলতি বছরের ২৪ জুলাই ঢাকা নৌ-আদালত লঞ্চটিকে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়।
১৯২ ফুট দৈর্ঘ, ৩১.৫০ ফুট প্রস্থ এবং ২৭ ফুট উচ্চতার তিনতলা বিশিষ্ট বিশালাকারের লঞ্চটির দুইদিকে দুটি বাল্কহেড বেঁধে ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা করেও ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যেতে পারেনি মালিক পক্ষ।
স্থানীয়ভাবে লঞ্চের দায়িত্বে থাকা আবু হানিফ জানান, দুই একদিনের মধ্যে টাগবোর্ড এনে লঞ্চটি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।
ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৪১।