বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারী চিকিৎসক হত্যায় রেজার স্বীকারোক্তি

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২২ ২১:২৫

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম আসামি রেজাউল করিম রেজার জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।

রাজধানীর পান্থপথের আবাসিক হোটেলে নারী চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিককে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আসামি রেজাউল করিম রেজা। তিনি নিজেকে জান্নাতুলের স্বামী হিসেবে দাবি করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শনিবার আসামি রেজাউলকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর মোহাম্মদ মাহফুজুল কবির আদালতে হাজির করেন। আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিতে চান। তদন্ত কর্মকর্তা ১৬৪ ধারায় তা রেকর্ড করতে আদালতে আবেদন জানান।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলম আসামির জবানবন্দি রেকর্ডের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে আসামি রেজাউলকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জান্নাতুলকে হত্যার বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। পুলিশ আসামির রক্তমাখা গেঞ্জি, মোবাইল ফোন ও ব্যাগ জব্দ করে।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকের সঙ্গে রেজাউলের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২০ সালের অক্টোবরে তারা গোপনে বিয়ে করেন।

পরিবারের অমতে বিয়ে করায় তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে আবাসিক হোটেলে অবস্থান করেন। রেজাউলের একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় তা নিয়ে ঝগড়া হয় দুজনের। এরই সূত্রে রেজাউল সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে জান্নাতুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

গত ১০ আগস্ট জান্নাতুলকে তার জন্মদিন উদযাপনের কথা বলে নেয়া হয় পান্থপথের ‘ফ্যামিলি অ্যাপার্টমেন্ট’ নামের আবাসিক হোটেলে। সেখানে থাকা অবস্থায় রেজাউলের সঙ্গে জান্নাতুলের তর্ক ও ধস্তাধস্তি হয়। রেজাউল ব্যাগে থাকা ছুরি বের করে জান্নাতুলের শরীরে একাধিক আঘাত করেন। একপর্যায়ে গলা কেটে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।

তালাবদ্ধ রুম থেকে জান্নাতুলের মরদেহ উদ্ধারের পর কলাবাগান থানায় মামলা হয়। জান্নাতুলের পিতা শফিকুল আলম এ মামলা করেন।

এ বিভাগের আরো খবর