বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিলেটে এবার দুই পরিবারের ৮ সদস্য অজ্ঞান

  •    
  • ১৩ আগস্ট, ২০২২ ১৯:৩৮

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিগার সুলতানা বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে আমাদের চোখ জ্বালাপোড়া করছিল। তখন চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠি। এরপর থেকে আমরা চোখে ঝাপসা দেখতে থাকি। কয়েকবার বমিও করি।’

সিলেটের ওসমানীনগরে একটি প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার ও তাদের তিনজনের মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই একই রকম আরেকটি ঘটনার খবর পাওয়া গেছে।

এবার সিলেট সদর উপজেলার বড়শালা থেকে দুটি পরিবারের ৮ সদস্যকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার সকালে স্থানীয়রা অজ্ঞান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুজনের জ্ঞান ফেরেনি।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, সিলেট ক্লাবের পেছনের একটি বাড়ির বেশ কয়েকজন বাসিন্দা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন। সকালে তাদের পরিবারের দুজন এসে স্থানীয়দের ডাকাডাকি করলে তারা অসুস্থদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীনরা হলেন- সুহানুর রহমান সাগর, নিগার সুলতানা, মাজেদা বেগম, সুভাষ চন্দ্র দে, শ্রীভাষ চন্দ্র দে, সুজন দে, শিবানী চন্দ্র দে ও গৌরী রানি দে।

অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিগার সুলতানা জানান, সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের পাশে টিনশেডের একটি একতলা বাসায় তারা দুটি পরিবার বাস করেন। শুক্রবার দুই পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে তার ভাই সাহেদ আহমদ রাতে অন্যত্র খেয়ে আসায় বাসায় খাবার খাননি। সাহেদ প্রায় পুরো রাতই জেগে ছিলেন।

নিগার বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে আমাদের চোখ জ্বালাপোড়া করছিল। তখন চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠি। এরপর থেকে আমরা চোখে ঝাপসা দেখতে থাকি। কয়েকবার বমিও করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘চিৎকার শুনে আমার ভাই দৌড়ে এসে দেখে, রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কাটা। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই। সকালে দেখি হাসপাতালে ভর্তি।’

এ বিষয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাইনুল জাকির বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, চুরির উদ্দেশে চোরেরাই এমনটি করেছে। আমরা কিছু আলামত জব্দ করেছি। তবে তদন্তের আগে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।’

এর আগে গত ২৬ জুলাই ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারের একটি বাসা থেকে প্রবাসী পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। হাসপাতালে নেয়ার পর ওই দিনই মারা যান প্রবাসী রফিকুল ইসলাম ও তার ছেলে মাইকুল ইসলাম। এরপর ৬ আগস্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রফিকুলের মেয়ে সামিরা ইসলামও।

এই মৃত্যু ও অসুস্থতার রহস্যও এখনও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর