জ্বালানি তেলের দর ও পণ্যমূল্য বৃদ্ধি এবং ভোলায় সংঘর্ষে দুই নেতা-কর্মীর প্রাণহানির প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভে মারামারি করেছেন বিএনপির দুই পক্ষ। তাদেরকে নিবৃত্ত করতে গেলে মারামারিতে জড়িত দুই পক্ষ চড়াও হয় তার ওপরও।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ বিএনপি যৌথভাবে আয়োজিত সমাবেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির এই ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক ছাত্রদলের নেতা মোহাম্মদ নয়নের নেতৃত্বে কয়েকজনের একটি পক্ষ অপর একটি পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়ায়। সেখানে উপস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী তাদের থামাতে যান। নেতা-কর্মীরা তখন তার ওপরও চড়াও হন।
এ সময় ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পাভেল মোল্লা, ঢাকা জেলা তাঁতী দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হীরা হোসেন, যুবদল নেতা বাদল হোসেন ও বিএনপির নেতা আল আমিন আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীদের পাশে নির্ধারিত স্থানে বিশাল একটি মিছিল নিয়ে অবস্থান নেন ঢাকা মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীন ও সদস্য সচিব এনামুল হক এনাম।
কিছুক্ষণ পর ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী নিয়ে সেখানে হাজির হন রবিউল ইসলাম নয়ন। তারা কেরানীগঞ্জ দক্ষিণের নেতা-কর্মীদের তুলে দিয়ে বসতে চান। এক পর্যায়ে কেরানীগঞ্জের এক কর্মীর মোবাইল ফোন ভেঙে ফেলেন নয়ন।
তখন কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় তাদেরকে থামাতে যান। তখন নয়নসহ তার সঙ্গে থাকা নেতা-কর্মীরা তার ওপরও চড়াও হন এবং কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীদের মারধর করেন।
একপর্যায়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের নেতা-কর্মীরা নয়নকে ধরে উত্তম মধ্যম দেয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখলে যুবদলের কেন্দ্রীয় এক নেতার হস্তক্ষেপে স্থান ত্যাগ করেন নয়ন।