যশোরের অভয়নগরে নাঈমা খাতুন নামে দ্বিতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় অভিযুক্ত আমজাদ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম থেকে আমজাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত কোরাইশ মোল্লার ছেলে।
এর আগে গত রোববার রাত ১১টার দিকে বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে ধলিয়ার বিলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোসলেম উদ্দিনের পরিত্যক্ত ডোবায় কচুরিপানার ভেতর থেকে নাঈমা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই ঘটনায় সোমবার রাতে নিহত শিশুটির বাবা মনিরুল বিশ্বাস- আমজাদ মোল্লাকে আসামি করে অভয়নগর থানায় মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, নিহত নাঈমা প্রতিবেশী ও মৎস্য ঘের কর্মচারী আমজাদকে বন্ধু বলে ডাকতো। রোববার বিকেলে আমজাদের মৎস্য ঘেরে খেলা করতে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায় সে।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে না এলে নাঈমাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর রাত ১১টার দিকে আমজাদের মৎস্য ঘেরের পাশে মোসলেম উদ্দিনের ডোবায় কচুরিপানার ভেতরে নাঈমার একটি হাত দেখতে পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ নাঈমার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
মনিরুল বলেন, ‘আমার একমাত্র মেয়েকে প্রথমে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে খুন করে লাশ গুম করতে কচুরিপানার ভেতর লুকিয়ে রাখা হয়।’
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ওসি একেএম শামীম হাসান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া আমজাদকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।