বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পাথরঘাটায় বিদ্যুৎ লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তি

  • পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি   
  • ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৮:১০

আওয়ামী সরকারের পতনের পরেও দক্ষিণাঞ্চলের বিদ্যুৎ খাতে পরিবর্তন আসেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এলাকাবাসী বলছেন, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে পিরোজপুর, মঠবাড়িয়া ও বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় দীর্ঘসময় লোডশেডিং চলছে। দিনে প্রায় ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ফলে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে লাখো মানুষ।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা একাধিকবার ঘোষণা দিয়েছেন, ‘ঢাকায় আগে লোডশেডিং হলে তবেই বাইরে হবে। কিন্তু বাস্তবে দক্ষিণাঞ্চলেই দীর্ঘ লোডশেডিং চলছে। স্থানীয়রা বলছেন, জাতীয় গ্রিডে কোনো ঘাটতি না থাকলেও কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ভোগান্তি বাড়ছে।

জাতীয় গ্রিড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সংকট নেই বরং চাহিদার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। তাদের ভাষায়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল সব জায়গায় সমানভাবে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। দক্ষিণাঞ্চলে সামান্য লোডশেডিং হতে পারে, কিন্তু দিনে ৬-৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার প্রশ্নই ওঠে না।’

অভিযোগ রয়েছে, পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ থেকে খুলনার কিছু কলকারখানায় ৩ টাকা বেশি দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া ও আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত লোডশেডিং চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

দীর্ঘ লোডশেডিংয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জেলে ও কৃষকরা। পাথরঘাটার সমুদ্রগামী ট্রলারগুলোতে সময়মতো বরফ সরবরাহ করতে না পারায় মাছ দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়ছে উপকূলীয় জেলেরা। কৃষকরাও সেচ যন্ত্র চালাতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। সরকারি রাজস্ব হারাচ্ছে দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় মৎস্য খাত।

পাথরঘাটা সাব-জোনাল অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম জানান, ‘পিরোজপুর থেকে পাথরঘাটার দূরত্ব ৬৬ কিলোমিটার। ঝড়-বৃষ্টিতে গাছপালা পড়ে গেলে লাইনে সমস্যা হয়। তখন মেরামতের জন্য কিছু সময় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখতে হয়।

এ বিভাগের আরো খবর