বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে।
‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’ স্লোগানে কমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক দিয়ে সোমবার এই অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
এরপর বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন নিয়ে দেখানো হয় একটি প্রামাণ্য তথ্যচিত্র।
এদিনের আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন নিয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সানজিদা জেসমিন। এ ছাড়া এই আলোচনায় অংশ নেন শেখ রাসেলের বাল্যবন্ধু উন্নয়নকর্মী, গবেষক ও প্রতিবেশী নাতাশা আহমেদ এবং কলকাতার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান কমিশনের কাউন্সিলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম এবং কাউন্সিলর (কনস্যুলার) বশির উদ্দিন।
নাতাশা আহমেদ বলেন, ‘মানুষকে আপন করে নেয়ার এক অদ্ভুত গুণ ছিল বঙ্গমাতার। শুধু পরিবার নয়, আশপাশের সবাইকে নিজের করে নিতেন বঙ্গমাতা।’
বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, ‘বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব সম্পর্কে এতদিন তেমন কিছু জানা ছিল না। বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতিতে তার নীরব যে ভূমিকা তার গুরুত্ব অপরিসীম।’
কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব পরস্পরের পরিপূরক ও অবিচ্ছেদ্য। বাঙালি জাতির ত্রাণকর্তা হয়ে ওঠার নেপথ্য সারথি বঙ্গমাতা। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে গেছেন তিনি।’
বঙ্গমাতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।