বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জন্মদিনে বঙ্গমাতার দৃঢ়তা উঠে এলো আমুর স্মৃতিচারণে

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ২০:০৫

আমির হোসেন আমু বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের আগে অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে নানা উপদেশ দিয়েছিলেন- এটা বলতে হবে, ওটা বলতে হবে। কিন্তু বেগম মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুকে বলে দেন- তুমি এত বছর রাজনীতি করেছ একটা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে। তুমি জানো তুমি কী চাও, তোমার যা সঠিক মনে হবে ভাষণে সেটাই বলবে। কারও কথায় কান দিও না।’

জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চারিত্রিক দৃঢ়তার দিকগুলো তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু। তিনি বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ইস্যুতে দৃঢ় ভূমিকা পালন করেছিলেন বেগম মুজিব।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমু বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণের আগে অনেকেই বঙ্গবন্ধুকে নানা উপদেশ দিয়েছিলেন- এটা বলতে হবে, ওটা বলতে হবে। কিন্তু বেগম মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুকে বলে দেন- তুমি এত বছর রাজনীতি করেছ একটা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে। তুমি জানো তুমি কী চাও, তোমার যা সঠিক মনে হবে ভাষণে সেটাই বলবে। কারও কথায় কান দিও না।’

তিনি বলেন, ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গবন্ধুকে প্যারোলে মুক্তি দেবে। আওয়ামী লীগ আইয়ুব খানের প্রস্তাব গ্রহণ করলেও বঙ্গমাতা বলেন, শেখ মুজিবের সঙ্গে আরো ৩৪ জন বন্দি রয়েছে। তাদের কী হবে? তাদেরকেও সসম্মানে মুক্তি দিতে হবে। বঙ্গবন্ধু বের হলেন না, কিছুদিন পর সবাই সসম্মানে মুক্তি পেলেন।’

স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যখন কারাগারে যেতেন তখন বঙ্গমাতা আমাদের উৎসাহ দিতেন, সাহস দিতেন, পরামর্শ দিতেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারাগারে দেখা করে এসে তিনি তার যাবতীয় নির্দেশনা আমাদের কাছে পৌঁছে দিতেন।

‘বঙ্গবন্ধু যখন জেলে থাকতেন তখন বঙ্গমাতা কখনো বিচলিত হতেন না, কান্না করতেন না। বরং আমাদের পরামর্শের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তা করতেন। বস্তুত তিনি প্রেরণা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে কখনো নিজের প্রাপ্যটা নেননি, নেয়ার চেষ্টা করেননি।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লড়াই-সংগ্রামে বঙ্গমাতা একজন সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে থেকেছেন। তিনি পরিবারের সব সদস্যের দায়িত্বসহ জাতির পিতার প্রাণপ্রিয় সংগঠন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দুর্দিনে দায়িত্ব নিয়ে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন এবং পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। তিনি ইতিহাসের পাতায় চিরস্মরণীয়।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেনসহ সংগঠনটির অন্যান্য নেতা।

এ বিভাগের আরো খবর