বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বেনজীর যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন, আশা পররাষ্ট্র সচিবের

  •    
  • ৮ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৪৪

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে র‌্যাব এবং এর সাত কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আগে র‌্যাবেই ছিলেন। তার বাহিনীটির সাবেক কর্মকর্তা হিসেবেই তিনি নিষেধাজ্ঞায় পড়েন। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর বেনজীরকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই পুলিশর মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদকে দেশটিতে পাঠানোর বিষয়ে সরকারি আদেশ জারি হয়েছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। এই সফরে শেষ পর্যন্ত কোনো সমস্যা হবে না বলেও আশাবাদী তিনি।

তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় গ্রিন সিগন্যাল আছে। তা না হলে নিশ্চয়ই জিও (গভর্নমেন্ট অর্ডার) হতো না। জিও যেহেতু ইস্যু হয়েছে, দেখা যাক।’

সোমবার বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি মিশেল জে সিসেসের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সচিব। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিবের ওই বৈঠকটি হয়।

সচিব বলেন, ‘কোনো রকম অসুবিধা না হলে আমরা আশা করছি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন। আর কোনো সমস্যা যদি থাকে, তাহলে আমরা আগে জানানোর চেষ্টা করব।’

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আমন্ত্রিতরা সাধারণত সফরের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এটার রেওয়াজ আছে। পুলিশ প্রধান এই সুবিধা পাবেন কি না, সেটা সময়ের আগে বলা যাচ্ছে না। কারণ, রেওয়াজেরও অনেক ব্যতিক্রম রয়েছে।’

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে র‌্যাব এবং এর সাত কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। বেনজীর আগে র‌্যাবেই ছিলেন। তার বাহিনীটির সাবেক কর্মকর্তা হিসেবেই তিনি নিষেধাজ্ঞায় পড়েন।

এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আর বেনজীরকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানোর উদ্যোগও নেয়া হয়েছে।

দেশটিতে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের চিফ অব পুলিশ সামিটে (ইউএনকপ) অংশ নিতে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে তার নামও রাখা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (পুলিশ-৩ শাখা) হারুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি প্রধান অর্থ ও হিসাব কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ র‌্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বিষয়টি তুলে ধরা হয়। জবাবে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, এর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া একটি আইনি প্রক্রিয়া। এরপর স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

সচিব বলেন, ‘আমরা তাদেরকে বলেছি আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা আমাদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠেছি। আমাদের ল ফার্ম যুক্তরাষ্ট্রেও বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’

মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা সম্পর্কে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর প্রয়োগে যেন কোনো ধরনের অসঙ্গতি না থাকে, অপপ্রয়োগ রোধ করার কৌশল নিয়ে আলাপ হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুবই সচেতন বলে জানিয়েছি।’

সচিব জানান, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের প্রশাংসাও করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কীভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানো যায় ও ফলপ্রসূ হয়, তা নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সহযোগিতা করতে রাজি হওয়ার কথা জানায় যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিজে) রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে চলা মামলায় সহযোগিতার প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ।

সচিব বলেন, ‘আমরা বলেছি, রোহিঙ্গাদের রাখাইনে ফেরত পাঠানোর মাধ্যমেই সমস্যার টেকসই সমাধান করতে হবে। তৃতীয় দেশে রোহিঙ্গা রেখে এই সমস্যার সমাধান হবে না।’

সচিব জানান, চীন- তাইওয়ান ইস্যুতে বাংলাদেশের ‘এক চীন নীতি’ নিয়ে কোনো কথা না হলেও জাতিসংঘ সনদের মূল নীতির উপর অটল থাকার অনুরোধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার মিথেন কমিটমেন্টে কীভাবে শরিক হওয়া যায় তা নিয়েও দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান পররাষ্ট্র সচিব। বলেন, ‘বৈঠকে জলবায়ু ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র কপ-২৬ এ ফিরে এসেছে। আমরা বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু দুর্যোগপূর্ণ দেশ।’

গ্লাসগোতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান পররাষ্ট্র সচিব।

তিনি বলেন, ‘আলোচনায় নতুন করে উঠে এসেছে ফুড সিকিউরিটি বিষয়ে। আগেও এটা নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এটা বিশ্বের জন্য নতুন সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।

এ বিভাগের আরো খবর