মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মহন আলী নামে ৬০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস হয়।
রোববার বিকেলে মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক আব্দুন নূর অভিযুক্ত মহন আলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মানিকগঞ্জ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত মহন আলীর বাড়ির সিংগাইর উপজেলার ধল্ল্যা ইউনিয়নের খাশের চর এলাকায়। শনিবার তার বিরুদ্ধে মামলা করে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলার একটি বাজারের পাশে গবাদিপশুর জন্য খাবার সংগ্রহ করতে গেলে মহন আলী ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ঘটনাটি কাউকে জানালে কিশোরীকে মেরে ফেলারও ভয় দেখান তিনি।
এ ঘটনার জের ধরে সম্প্রতি ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত শুক্রবার এক ডাক্তারি পরীক্ষায় তার অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে। পরে ধর্ষণের ঘটনাটি মা ও দাদিকে খুলে বলে ওই শিক্ষার্থী।
এ অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় মহন আলীকে আসামি করে সিংগাইর থানায় মামলা করেন কিশোরীর মা। মামলার পর শনিবার রাতেই মহনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ পরিদর্শক আনিসুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে রোববার বিকেল ৬টার দিকে মহন আলীকে করাগারে পাঠানো হয়।