বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবিতে আবারও নিয়োগ বাণিজ্যের ফোনালাপ ফাঁস

  •    
  • ৬ আগস্ট, ২০২২ ১৯:৫০

ভুক্তভোগীদের দাবি, ২০২১ সালের ৩১ মে ও ১ জুন দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে নিম্নমান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মাদারীপুরের রাকিব ফারাজী, সোহেল খান ও মাকসুদুল সালেহীনের কাছ থেকে দফায় দফায় মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ বাণিজ্যের আরও দুটি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।

চাকরি দেয়ার কথা বলে তিন চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিসের নিম্নমান সহকারী মানিক চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। মানিক নিজেকে 'সেকশন অফিসার' দাবি করে তাদের কাছ থেকে টাকাগুলো নেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, ২০২১ সালের ৩১ মে ও ১ জুন দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেখানে নিম্নমান সহকারী ও অফিস সহকারী পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে মাদারীপুরের রাকিব ফারাজী, সোহেল খান ও মাকসুদুল সালেহীনের কাছ থেকে দফায় দফায় মোট ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন মানিক।

এ ঘটনায় মানিক চন্দ্র দাসকে টাকা ফেরতের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন ভুক্তভোগীদের একজন রাকিব ফারাজী। এ ছাড়া টাকা লেনদেনের ব্যাংক রিসিপ্ট কপি, চেক বইয়ের কপি, ফাঁস হওয়া কথোপকথনের দুটি ক্লিপ নিউজবাংলার হাতে এসেছে।

রাকিব ফারাজীর লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্ত মানিক চন্দ্র দাস রাকিব ফারাজী থেকে অফিস পিয়ন পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সাড়ে ৩ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। চাকরি দিতে না পেরে আজ-কাল বলে টালবাহানা শেষে গত বছরে ডিসেম্বরের ২৮ তারিখ একটি ২ লাখ টাকার চেক ও এ বছরের ফেব্রুয়ারির ২০ তারিখ আরেকটি দেড় লাখ টাকার ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করেন।

নোটিশে লেখা হয়, চেক দুটি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মতিঝিল করপোরেট শাখায় 'অপর্যাপ্ত তহবিলের' কারণে ডিজঅনার হয়ে ফেরত আসে। নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

নিউজবাংলাকে লিগ্যাল নোটিশের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নোটিশদাতার আইনজীবী ঢাকা জজকোর্টের অ্যাডভোকেট ইমরান হোসাইন সানি।

তিনি বলেন, ‘২৭ জুলাই মানিক চন্দ্র দাস লিগ্যাল নোটিশ গ্রহণ করেছেন। তিনি প্রতারণা করে আমার মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।’

ভুক্তভোগী রাকিব ফারাজী বলেন, ‘মানিক আমার কাছ থেকে দফায় দফায় কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন। এখন তিনি টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করছেন। এ জন্য তাকে উকিল নোটিশও দিয়েছি।

লেনদেনসংক্রান্ত তিনটি চেকের দুটি ছবিও নিউজবাংলার হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, রাকিব ফারাজীকে দুটি চেকে মোট সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও সোহেল খানকে একটি চেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। সবগুলো চেক ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মানিক চন্দ্র দাস (Ac no- ১১৫১০১১৪৭০৮১) চেক বই থেকে ইস্যু করা হয়েছে।

এ ছাড়া মানিক চন্দ্র দাসের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর বেশ কয়েকটি কাস্টমার কপি নিউজবাংলার হাতে এসেছে। সেখানেও একই অ্যাকাউন্ট নম্বরে (১১৫১০১১৪৭০৮১) বিভিন্ন অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দেখা যায়।

ভুক্তভোগীদের একজন মাকসুদুল সালেহীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মানিক চন্দ্র চাকরি দেয়ার নাম করে আমি, সোহেল খান ও রাকিব ফারাজীর কাছ থেকে ৮ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়েছেন। মানিক আমাদের কাছে সেকশন অফিসার হিসেবে নিজেকে দাবি করেছেন, যেটি মিথ্যা। তিনি বলেছিলেন ডিসেম্বরের মধ্যে চাকরি হয়ে যাবে। টাকা নেয়ার জন্য মানিক টালবাহানা করে দফায় দফায় টাকা নিয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে ৫০ হাজার, ১ লাখ, নানা অজুহাতে মানিক টাকা নিয়েছেন।’

তিনি জানান, পরে চাকরি না হওয়ায় কৌশলে তিনটি চেক আমরা নিয়েছি। যার মধ্যে একটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি দুটি ব্যাংকে ডিজঅনার হওয়ায় উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

কীভাবে মানিককে খোঁজ পেলেন জানতে চাইলে বলেন, ‘তার স্ত্রী আমার পরিচিত। সেই সুবাদে মানিককে আমি চিনি।’

মাকসুদুল বলেন, ‘সে এখন নানাভাবে আমাদের ঘুরাচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। আমরা তিনজন মিলেই টাকা দিয়েছি। বাকি দুজন আমার ছাত্র। আমি নিম্নমান সহকারী, বাকি দুজন পিয়ন পদে আবেদন করি।’

এর আগেও চাকরিপ্রার্থীর কাছ থেকে নিয়োগের বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের চেষ্টার কয়েকটি ফোনালাপের ক্লিপ ফাঁস হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর