বাসাবাড়ির ছাদে ডেঙ্গুর বাহক এডিসের উৎস খুঁজতে এবার ড্রেন ব্যবহার করে ব্যাপক আলোচনায় আসে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। অবশ্য আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও এখনপর্যন্ত ড্রোন দিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার বাড়ির ছাদ পরিদর্শন করেছে ডিএনসিসি।
রাজধানীর মধুবাগ এলাকায় শনিবার সকালে ‘সকাল দশটায় দশ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ আঙিনা ও বাসা-বাড়ি করি পরিষ্কার, এই হোক আমাদের অঙ্গিকার’ স্লোগানে ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে গিয় এ তথ্য জানান মেয়র।
প্রচারাভিযানে ডিএনসিসি মেয়র মধুবাগ এলাকায় বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং নিজে মাইকিং করে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন করেন।
আতিকুল ইসলাম মধুবাগের শের-ই-বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে গিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন। ট্রাকে উঠে এডিস মশার উৎসস্থল- গাড়ির পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, মাটির পাত্র, খাবারের প্যাকেট, অব্যবহৃত কমোড এগুলো দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা মেয়রের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রতি শনিবার সকালে দশটায় দশ মিনিট বাসা-বাড়ি পরিষ্কার করার কথা দেন।
শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, ‘আপনারা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন করে তুলবেন। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবাইকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিতে হবে। জমে থাকা পরিষ্কার পানিতেই এডিসের লার্ভা জন্মায়।’
তিনি বলেন, ‘শুধু সিটি করপোরেশন একা নয়, বরং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সবার সচেতনতা প্রয়োজন। আমরা নিজেরাই এডিসের লার্ভার প্রজননক্ষেত্র তৈরি করি। সিটি করপোরেশন নিয়মিত বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সবাই সচেতন না হলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘যদিও জনগণের সচেতনতা ও সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আমরা ডেঙ্গুকে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। আমরা চাই ডেঙ্গুকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখতে। সেজন্য জনগণের সহযোগিতা চাই।’
তিনি বলেন, ‘ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় এডিস মশার উৎস খুঁজতে ড্রোনের মাধ্যমে ১ লাখ ২৮ হাজার বাড়ির ছাদ পরিদর্শন করা হয়েছে।’
ডেঙ্গু বিরোধী সচেতনতামূলক প্রচারে গিয়ে মেয়র আতিকুল ইসলাম বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠেয় ডিএনসিসিতে অনলাইনে কর পরিশোধ বিষয়ক সচেতনতা কার্যক্রমও পরিদর্শন করেন।
প্রচারাভিযানে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হামিদ মিয়াসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।