বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যে কারণে দিনাজপুর স্টেশনে উত্তেজনা

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ২২:৫৪

মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আমাকে লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছে। এ সময় আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও পা দিয়ে লাথি মারতে থাকে। আমার মাথায় তিনটি সেলাই পড়ছে।’

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা চড়বেন ট্রেনে। স্টেশনে তার কাছে টিকিট দেখতে চান রেলকর্মীরা। তখনও টিকিট সংগ্রহ করেননি ওই কর্মকর্তা। জানান, তার এক সহযোগী কাটতে গেছে টিকিট। এরপর তাকে আটকে রাখা হয় স্টেশনের একটি কক্ষে। তিনি ফোন করে বিষয়টি জানান সহকর্মীদের। তারা এসে তাকে ছাড়িয়ে নেন। তবে এ সময় উভয় পক্ষের মধ্য ধাক্কাধাক্কি এবং মারামারিতে আহত হন বেশ কয়েকজন।

বুধবার বিকেলের এই ঘটনা দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের। আহতদের মধ্যে রেলের এক নিরাপত্তাকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া এক টিকিট কালেক্টরের পোশাক ছিঁড়ে গেছে। রেলকর্মীদের অভিযোগ, তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোকজন।

বিষয়টি মীমাংসা করতে উভয় পক্ষের লোকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন স্টেশন মাস্টার ও রেল পুলিশ। বুধবার রাতে এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও ওই বৈঠক চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভুইয়া জানান, বিকেল পৌনে ৬টার দিকে স্টেশনে আসেন দিনাজপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাহনেওয়াজ। তার কাছে টিকিট না পেয়ে স্টেশন কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাকে টিকিট কালেক্টর রুমে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সাত-আটজন সদস্য স্টেশনে এসে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, টিকিট কালেক্টর ও স্টেশনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ওপর লোহার রড দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মাসুদ পারভেজের মাথা ফেটে যায় ও টিকিট কালেক্টর রিপনের পোশাক ছিঁড়ে যায়। পরে রেলওয়ে পুলিশ এগিয়ে এলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় আহত মাসুদকে উদ্ধার করে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

টিকিট কালেক্টর মো. রিপন বলেন, ‘আমি তাকে (মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে) টিকিট দেখাতে বলি। এ সময় তিনি টিকিট দেখাতে পারেন নাই। তাকে পাশে টিকিট কালেক্টর রুমে নিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পর মাদকের ইন্সপেক্টর রায়হান আহম্মেদ, এএসআই হাসিবুল হাসানসহ সাত-আটজন লোহার রড দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে।

‘এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মাসুদ পারভেজের মাথা ফেটে যায়। তারা আমার পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে স্টেশনের দায়িত্বরত নারী কর্মকর্তাদের ওপর হামলা করলে তারা তাদের রুমে পালিয়ে গিয়ে রক্ষা পায়।’

তবে হামলার অভিযোগ নাকচ করেছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. শাহনেওয়াজ। তিনি বলেন, ‘আমি ও আমার অফিস সহকারী মাসুদ আলম স্টেশনে আসি। কাউন্টারে মাসুদকে টিকিট কাটতে পাঠিয়ে আমি প্রধান ফটকে দিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে যাই। এ সময় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আমার টিকিট দেখতে চান।

‘আমি তাদের বলি, আমার টিকিট কাটতে গেছে, আমি এখানে অপেক্ষা করছি। এ সময় স্টেশনের এক কর্মচারী আমাকে ধাক্কা মারতে মারতে টিকিট কালেক্টরদের রুমে নিয়ে গিয়ে তালা মেরে রাখেন। এ সময় আমি অফিসে জানালে অফিস থেকে ইন্সপেক্টর রায়হান আহাম্মেদসহ কয়েকজন স্টেশনে এসে আমাকে রুম থেকে বের করেন। বের করার সময় স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও আমাদের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।’

তবে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘আমাকে লোহার রড দিয়ে মারা হয়েছে। এ সময় আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও পা দিয়ে লাথি মারতে থাকে। আমার মাথায় তিনটি সেলাই পড়ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর