বগুড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে ৯ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। রায়ে খালাস দেয়া হয়েছে ছয়জনকে।
বগুড়া অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবা মণ্ডল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) নাসিমুল করিম হলি নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন মানিক মিয়া ও তার বাবা ইসমাইল ওরফে ইন্নুস, আব্দুল গফুর, জাকের মিয়া, আব্দুল খালেক, আব্দুল গনি, সুলতান মোল্লা, ইন্তাজ আলী। তাদের সবার বাড়ি সদরের চালিতাবাড়ী গ্রামের নাগরকান্দিপাড়ায়।
এদের মধ্যে মানিক মিয়া ও আব্দুল গফুর পলাতক।
যারা খালাস পেয়েছেন তারা হলেন মো. আরিফ, মো. ইউসুফ, আলেতন নেছা, রেহেনা, মো. সিরাজ উদ্দিন ও মো. সুলতান উদ্দিন। তাদের বাড়িও নাগরকান্দি এলাকায়।
ওসি জানান, আব্দুল জোব্বারের সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০০৮ সালের ২০ জুনের বিকেলে সরেজমিন সম্পত্তি সার্ভেয়ারের তদন্ত করার কথা ছিল।
সার্ভেয়ারের কাজ চলাকালে আসামিরা সুলতান মোল্লার নির্দেশে আব্দুল জোব্বারের বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি পড়ে গেলে লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ওইদিন নিহতের ছোট ভাই সাজু মিয়া ১৬ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছর পর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ছয়জনকে খালাস দেন।
রোকেয়া নামে এক আসামি মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয় আগেই।