বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রী হতে চান মান্না

  •    
  • ৩ আগস্ট, ২০২২ ১৬:০০

‘আমি আলাদা দল করি কেন? আমি চাই আমার দল একদিন ক্ষমতায় যাক, আমি একদিন প্রধানমন্ত্রী হই চাইব তো। আমি বিশ্বাস করি আমার দল নিয়ে ক্ষমতায় গেলে, আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ বদলে দিতে পারব।’

তৃতীয় শক্তি হওয়ার মানসে নতুন জোট ঘোষণার পরদিন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে দেশ বদলে দিতে পারবেন।

তিনি এও বলেছেন, জোটগত রাজনীতি করলেও তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো তার দলকে ক্ষমতায় দেখা, নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়া।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন। ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম’ নামে একটি সংগঠন এই আলোচনার আয়োজন করে ‘সরকার ইভিএম-এ নির্বাচন করতে চায় কেন?’- এ বিষয়ে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনায় বক্তব্য দেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। ছবি: নিউজবাংলা

আগের দিন জাতীয় প্রেস ক্লাবেই গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত এক আলোচনায় ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ নামে নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। এই জোটে থাকছে মান্নার নাগরিক ঐক্যও।

সেই আলোচনায় মান্না বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ভিত্তি নেই। মানুষের এখন এমন অবস্থা তারা আওয়ামী লীগকেও বিশ্বাস করে না। আবার বিরোধী দল হিসেবে বিএনপিকেও বিশ্বাস করে না। তারা বিকল্প চায়। আমরা সে চেষ্টা করছি।…আমরা একটা পরিবর্তন চাই এবং মানুষকে সেটি বোঝাতে হবে। এই পরিবর্তন শুধু সরকারের পরিবর্তন না, রাষ্ট্রব্যবস্থারও পরিবর্তন।’

মান্না বলেন, ‘আমি আলাদা দল করি কেন? আমি চাই আমার দল একদিন ক্ষমতায় যাক, আমি একদিন প্রধানমন্ত্রী হই চাইব তো।

‘আমি বিশ্বাস করি আমার দল নিয়ে ক্ষমতায় গেলে, আমি যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, তাহলে বাংলাদেশ বদলে দিতে পারব।’

শ্রোতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যখন কথা বলেন, তখন আমি শুনি। কারণ আপনাদেরকে লাগবে। কিন্তু আপনাদের বক্তব্য পুরোটা আমার নয়।’

নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, ‘অদ্ভুত একটা ফিচার বাংলাদেশে লক্ষ করি। কোনো মানুষ সরকারকে দেখতে পারে না। তার বদলে সম্পূর্ণ সমর্থন বিশ্বাস বিএনপির ওপরে থাকার কথা। বিএনপির ওপরে মানুষের সমর্থন আছে, কিন্তু আস্থাটাও থাকতে হবে। একটা কল্যাণ রাষ্ট্র চাই, যেই রাষ্ট্রের সমস্ত কিছু মিলে কল্যাণের চিন্তা হবে। এই সব কিছু মিলে বিএনপি বা বিরোধী দলের প্রতি মানুষের আস্থা এখনও তৈরি হয়ে ওঠেনি।’

মান্না বলেন, ‘একটা জিনিস বিশ্বাস করতে পারেন, বিএনপি পরাজিত হোক তা আমি চাই না। কারণ আমি মনে করি বিএনপির পরাজয় মানেই আমার পরাজয়। আবার বিএনপির জয় মানেই যে আমার জয় এমনও নয়।’

সরকার ও দেশ পরিবর্তনের লড়াইয়ে বিএনপিকে পাশে চান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের নেতা বলেন, ‘আমি বিএনপি করি না। বিএনপি করব- এমন কোনো কথাও নাই। কিন্তু বিএনপি ছাড়া এই লড়াই জেতা যাবে তা মনে করি না। এটা বাস্তব সত্য।

‘আমি সমালোচনা করতে পারি কিন্তু বিএনপি গত ১৩-১৪ বছর লাগাতার সংগ্রাম করছে। যত নেতাকর্মীর নামে মামলা আছে, অতীতে এতো নেতাকর্মীর নামে কোনো মামলা ছিল না। এই জালিম সরকারের চোখে কোনো পর্দা নেই। বিএনপি লড়াই করছে, জীবন দিচ্ছে। সবকিছু মিলেই আমি মনে করি বিএনপি আন্দোলনের জন্য প্রয়োজন। আমাদের নিজেদের অনেক ভুলের কারণে ফ্যাসিবাদ শক্তিশালী হচ্ছে স্থায়িত্ব পেয়ে দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে।’

২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সংস্কারপন্থি পরিচয় সামনে আসার পর আওয়ামী লীগে অবস্থান হারান মান্না। ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে পাননি দলের মনোনয়ন। পরের বছর দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে গঠন করেন নতুন দল। এখন তিনি আওয়ামী লীগের কট্টর সমালোচকদের একজন।

নিজের রাজনৈতিক অতীত নিয়ে মান্না বলেন, ‘আমি দুই দশক আওয়ামী লীগ করেছি। এই দল স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিল। ভেজাল থাকলেও তা স্বীকৃত। এই দলে শেখ মুজিবের মতন এত বড় মাপের একজন নেতা ছিলেন।

‘সেই দলের নামে মানুষ এখন থুতু দেয়। তারা ফেয়ার নির্বাচন দেয় না। দেবে কেন? তারা জানে ফেয়ার নির্বাচন হলে তারা জিততে পারবে না। সত্যি কথা হচ্ছে, রাজনৈতিকভাবে এই দল ধসে গেছে। মানুষ বলে আওয়ামী লীগ এখন পুলিশ লীগ। পুলিশ না থাকলে আওয়ামী লীগ এখন টিকতে পারবে?’

এ বিভাগের আরো খবর