ঢাকা থেকে বরিশালে যাওয়ার পথে এমভি সুন্দরবন-১১ লঞ্চটি নদীর তীরবর্তী চরে আটকে যায়। এ ঘটনার পর সুরভী-৭ নামের আরেকটি লঞ্চ যাত্রীদের উদ্ধার করে বরিশালে পৌঁছে দেয়।
চাঁদপুরের পশ্চিম মোহনপুরসংলগ্ন নদীতে চলমান অবস্থায় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ইঞ্জিনে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিলে সুন্দরবন-১১ লঞ্চটির নিয়ন্ত্রণ হারান মাস্টার। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লঞ্চটি উদ্ধার হয়নি বলে জানা গেছে।
লঞ্চের মাস্টার আলম সর্দার জানান, আনুমানিক ৪০০ থেকে ৫০০ যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা দেয় সুন্দরবন-১১ লঞ্চ। পথে হাইড্রোলিকে ত্রুটি দেখা দিলে লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণে নিতে তীরবর্তী চরের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে লঞ্চটি চরে আটকে গেলে এবং নদীতে ভাটি থাকায় সেটিকে আর নামানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে যাত্রীদের সুরভী-৭ লঞ্চে তুলে দেয়া হয়, যাতে তারা নিরাপদে বরিশালে পৌঁছাতে পারে।
সুরভী-৭ লঞ্চের যাত্রী ওমর ফারুক বলেন, ‘সুন্দরবন-১১ লঞ্চ আমাদের লঞ্চটির সামনে ছিল। সুন্দরবন লঞ্চটি চরে আটকে থাকতে দেখে সুরভী-৭ লঞ্চটি চরে নোঙর করে। সুন্দরবন-১১ লঞ্চের কাছে গিয়ে দেখতে পাই চরের ওপরে উঠে গেছে লঞ্চটি এবং পেছনের দিকে কাত অবস্থায় রয়েছে। পানি ওঠার মতো অবস্থা লঞ্চে।
‘লঞ্চটি দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে এই লঞ্চে যাত্রী নিয়ে বরিশালে যাওয়া সম্ভব নয়। পরে সুন্দরবন লঞ্চের প্রায় হাজার খানেক যাত্রী সুরভী-৭ লঞ্চে উঠে বরিশালে আসে। চর থেকে রাত ২টার দিকে বরিশালের উদ্দেশে রওনা হয় লঞ্চটি। ’
সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সিঙ্গেল কেবিনের যাত্রী ফারুখ হোসেন বলেন, ‘সুন্দরবন-১১ লঞ্চটি হঠাৎ করেই রাত ১২টার দিকে থেমে যায়। সব যাত্রীই আতঙ্কিত হয়ে যায়। রাত ১টার দিকে আমি ব্যাগ নিয়ে সুরভী লঞ্চে উঠেছি। হয়তো কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটা হয়েছে। এ ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।’