ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর বাম তীরের বাঁধ ভেঙে গেছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি এলাকার দেড় কিলোমিটার বালুর বাঁধের ১০০ মিটার ধসে গেছে। চরে পানি ঢুকে দেড় শতাধিক বিঘা জমির আমন তলিয়েছে।
পানি বাড়ায় তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নীলফামারীর ডালিয়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা।
তিনি বলেন, সকালে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বেলা ৩টা থেকে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢল অব্যাহত থাকায় তিস্তার পানি অস্বাভাবিক বেড়ে চরাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
চরখড়িবাড়ি এলাকার মানুষ জানান, বাম তীরের বালির বাঁধটি স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করা হয়েছিল পাঁচ বছর আগে।
এ ব্যাপারে টেপাখড়িবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মঈনুল হক জানান, উজানের ঢলে নদীর বাম তীরে পানির চাপ বেশি থাকায় বালির বাঁধটি ভেঙে গেছে। এদিকে তিস্তার পানি বেড়ে নীলফামারীর ২২টি চর প্লাবিত হয়েছে।ভেন্ডাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, ‘নদীভাঙনে ভিটেমাটি সব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। চোখের সামনে নদীর পানির স্রোত সব কিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।’
ভিটেমাটি-ঘরবাড়ি হারিয়ে ভেন্ডাবাড়ি এলাকার মনজিলা বেগম জানান, ‘আমার একটা ঘর ছাড়া আর কিছুই নিয়া আসতে পারি নাই। স্রোতে সব ভেসে গেল।’পূর্ব ছাতনাই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান জানান, তার ইউনিয়নের ৭০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।