ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় যৌতুক না পেয়ে চাচিকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
ঢাকার দারুস সালাম থানাধীন এলাকা থেকে শনিবার রাত আড়াইটার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ৪৫ বছর বয়সী সাইফুল ইসলামের বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার হুরবাড়ী গ্রামে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ কোম্পানি অধিনায়ক মেজর আখের মুহম্মদ জয়।
এজাহারের বরাতে তিনি জানান, উপজেলার হুরবাড়ী গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে মো. আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে মোছা. মনোয়ারার বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় মনোয়ারা গর্ভবতী হন। যৌতুক না পেয়ে ১৯৯৪ সালের ১১ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে স্বামী আব্দুল আউয়াল, আউয়ালের বোন শামছুন্নাহার, হাফেজা খাতুন ও আউয়ালের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আট মাসের গর্ভবতী মনোয়ারাকে হত্যা করেন। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা মনোয়ারার মুখে বিষ দিয়ে এটিকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. শহিদুল্লাহ ওই চারজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। পরবর্তী সময়ে সাক্ষ্যগ্রহণ ও প্রমাণ শেষে আদালত আসামিদের সাজা দেয়।
মেজর আখের মুহম্মদ জয় বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাইফুল ইসলাম দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিলেন। তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’