চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাসে ছিলেন হাটহাজারীর কলেজছাত্র তানভীর হাসান হৃদয়। দুর্ঘটনায় ১১ সহযাত্রী হারিয়েছেন, নিজেও আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিউজবাংলাকে তিনি জানিয়েছেন, আমানবাজারের আরঅ্যান্ডজে প্রাইভেট কেয়ার নামে কোচিং সেন্টারে পড়তেন। সেখান থেকে শুক্রবার সকালে শিক্ষক, ছাত্রসহ তারা ১৮ জন মাইক্রোবাসে করে খৈয়াছড়া ঝরনায় ঘুরতে গেছিলেন। ফেরার পথে শুক্রবার বেলা সোয়া ১টার দিকে মীরসরাইয়েয়ের বড়তাকিয়া রেলস্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, ‘গাড়িতে আমাদের কোচিংয়ের শিক্ষক জিসান, রিদোয়ান, রাকিব ও সজিব স্যার ছিলেন। আমরা চালকসহ ১৮ জন ছিলাম। আমি গাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলাম। দুর্ঘটনা কখন হয়েছে, কীভাবে হয়েছে কিছু মনে নেই আমার। আমি ঘটনার পর অজ্ঞান ছিলাম।’
ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদের একজন ওয়াহিদুল আলম জিসান। তিনিও ওই মাইক্রোবাসে ছিলেন।
তার বোন জান্নাতুল ফেরদৌস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওরা কোচিং সেন্টার থেকে খৈয়াছড়া গেছিল সকাল ৮টায়। শুনছি ওদের গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট করছে। এখন আর কোনো খবর পাইনি তাদের।’
ওই গাড়িতে ছিলেন কোচিংয়ের ছাত্র জিয়াউল হক সজিব। তার বাবা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে আসছি এখানে (ঘটনাস্থলে)। ওরা কোচিং থেকে এসেছিল। আমার ছেলেটা মারা গেছে।’
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলা আন্তনগর ট্রেন মহানগর প্রভাতীর যাত্রাকালে মাইক্রোবাসটি দ্রুতগতিতে রেললাইন অতিক্রম করার চেষ্টা করে। কিন্তু সেটি লাইনে ওঠার পর ট্রেনের ধাক্কায় দুমড়েমুচড়ে যায়।
মীরসরাইয়ে থানার উপপরিদর্শক সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে আসা মহানগর প্রভাতীর ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। আহত কয়েকজনকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা মুমূর্ষু।’
সীতাকুণ্ড রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) খোরশেদ আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বড়তাকিয়া স্টেশন থেকে ধাক্কা দিয়ে মাইক্রোবাসটিকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে নিয়ে গেছে ট্রেনটি।’
হতাহতদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত করেনি পুলিশ।