রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করতে চান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে এ পদক্ষেপে তিনি সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনের হলরুমে ডিএনসিসির বাজেট সভায় তিনি এ পদক্ষেপের কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘প্রতিটি রাস্তা, মহল্লা অটোরিকশায় সয়লাব। একেকটা রিকশাতে চারটি ব্যাটারি থাকে। সারাদিন চালানোর পর এগুলোকে সারারাত চার্জ করা হয়। এসব অটোরিকশা বিদ্যুৎ বিধ্বংসী। অবৈধ এ বাহনের কারণে প্রচুর বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে। এগুলোতে অনেক দুর্ঘটনাও ঘটছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘এই শহরে আগে পায়ে চালিত প্রচুর রিকশা চলেছে, এখনও চলে। আমরা তো সেসব রিকশা বন্ধ করে দিচ্ছি না। যে অটোরিকশা চালায়, সে পায়ে চালিত রিকশা চালাবে।’
সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা কামনা করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সময় এসেছে। শুধু আমরা নই, বিশ্বব্যাপী উন্নতদেশগুলোও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা তারা করছে।
‘ইতোমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বিদ্যুতের ব্যবহার অনেকাংশে কমিয়ে এনেছে। প্রয়োজনীয় বাতি ছাড়া সব বন্ধ থাকছে। এসিও বন্ধ থাকছে। যেসব কক্ষের এসি একান্ত প্রয়োজনে চালাতে হচ্ছে, সেগুলোর টেম্পারেচার ২৫ এর নিচে নামানো হচ্ছে না।’
বিদ্যুত সাশ্রয়ের জন্য বাজেট সভায় হল রুমের অর্ধেক শীতাতপ যন্ত্র চালু ছিল, ব্যবহার করা হয়েছে ২০ শতাংশ লাইট।
রাজধানীর গুলশান-২ নগরভবনের হলরুমে হয় ডিএনসিসির বাজেট সভা। ছবি: নিউজবাংলা
৫ হাজার ৪৮ কোটি টাকার বাজেট
ডিএনসিসির ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৫ হাজার ৪৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় সর্বসম্মতভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেয়া হয় ।
বাজেট বক্তব্যে মেয়র বলেন, ‘বিশ্ব এখন তিন সি (কোভিড, কনফ্লিক্ট এবং ক্লাইমেট চেইঞ্জ) নিয়ে টালমাটাল। আমাদের দেশের জন্যও এগুলো বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে আমরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগিয়ে যাচ্ছি।
‘ডিএনসিসি ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। আগামী অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে সবাইকে কাজ করতে হবে। একই সঙ্গে মিতব্যয়ী হতে হবে।’
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলাম ও ডিএনসিসির কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।