ছুরিকাঘাতে হৃৎপিণ্ড ফুটো হয়ে গিয়েছিল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদের।
নিউজবাংলাকে এমনটিই জানিয়েছেন বুলবুলের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামসুল ইসলাম।
সোমবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গাজীকালুর টিলায় ছুরিকাঘাতে আহত হন বুলবুল আহমেদ। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বুলবুলের ময়নাতদন্ত হয়। বুধবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন চিকিৎসকরা।
দুপুরে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামসুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুলবুলের শরীরে ছুরির চারটি আঘাত ছিল। এর মধ্যে পেট, বুক ও ঊরুর আঘাত গুরুতর। বুকে ছুরিকাঘাতের ফলে তার হার্ট ফুটো হয়ে যায়। এ ছাড়া হাতে আরেকটি আঘাত থাকলেও তা গুরুতর নয়।’
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই বুলবুলের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে গাজীকালুর টিলার পাশে ছুরিকাঘাতে খুন হন ২২ বছর বয়সী শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী বুলবুল আহমেদ। লোক প্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থীকে যখন ছুরিকাঘাত করা হয়, তখন টিলায় তার সঙ্গে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীও ছিলেন।
খুনের ঘটনায় ওই রাতেই জালালাবাদ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন। এরপর সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করে পুলিশ। আর তদন্ত কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বুধবার পুলিশ এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই বুলবুলকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক তিনজনকে পরে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
তাদের মধ্যে কামরুল ইসলামের বাড়ি থেকে বুলবুলের মোবাইল ফোন ও হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করে পুলিশ। এদিন সন্ধ্যায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আবুল হোসেন। বাকি দুজনকে আজ আদালতে তোলা হতে পারে বলে জানা গেছে।