সিলেটের এমসি কলেজে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার বিচার দুই বছরেও শুরু না হওয়াকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছে হাইকোর্ট। দীর্ঘদিনেও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে আদালত।
বুধবার এ মামলার এক আসামি রবিউল হাসান ওরফে রবিউল ইসলামের জামিন শুনানির সময় বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।
শুনানির শুরুতে আসামির জামিন প্রার্থনা করে তার আইনজীবী আলী আহমেদ খোকন বলেন, ‘ধর্ষণের সঙ্গে আসামি বরিউলের সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনার সময় তিনি সেখানে ছিলেন না। পরে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। প্রায় দুই বছর ধরে বরিউল কারাগারে আছেন। এ অবস্থায় তার জামিন প্রার্থনা করছি।’
তখন বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারক কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল বলেন, ‘এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ তো শুরু হয়ে গেছে।’
তখন আইনজীবী জানান, প্রায় দুই বছর হয়ে গেলেও মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়নি।
এ সময় বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক এস এম কুদ্দুস জামান উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, ‘কী নির্মম ঘটনা আসামিরা ঘটিয়েছে। এমন নির্মম চাঞ্চল্যকর মামলায় এখনও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু না হওয়া দুঃখজনক।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘জেলা জজ সাহেবরা কি এসব মামলা নিষ্পত্তি করতে আগ্রহী নয়?’
পরে আদালত আসামি রবিউল হাসানের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেয়।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এমসি কলেজে বেড়াতে আসেন এক তরুণী। এ সময় ক্যাম্পাস থেকে কয়েকজন ওই তরুণীকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা স্বামীকে বেঁধে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে।
গৃহবধূর স্বামী শাহপরাণ থানায় এ বিষয়ে মামলা করেন। এজাহারে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২-৩ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন এম সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান।
বহুল আলোচিত এ মামলার বিচার শুরু নিয়ে বিলম্বে উষ্মা প্রকাশ করেছে হাইকোর্ট।