ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুই উড়োজাহাজের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পরিদর্শনে গিয়ে বুধবার তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যারা দায়িত্বে ছিলেন তাদের গাফিলতির কারণেই গত ৩ জুলাই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের দুটি উড়োজাহাজের সংঘর্ষ হয়েছিল। তবে এর সঙ্গে অন্য কোনো কারণ জড়িত আছে কি না তাও বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
‘যে কারণেই ঘটে থাকুক না কেন, যারা দায়ী তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমানের একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজকে হ্যাঙ্গারে প্রবেশ করানোর সময় সেখানে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের একটি পাখা এবং পাখার নিচের অংশে আঘাত লাগে। এতে ৭৩৭ উড়োজাহাজটির বাম ডানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটির ডান ডানাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনার পর গত ২৫ জুলাই মন্ত্রিসভা বৈঠকে উড়োজাহাজ সংঘর্ষের সময় বিমানবন্দরে দায়িত্বে থাকা বিমানের প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দুটি বিমানের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইতোমধ্যে এর সঙ্গে জড়িত চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই দুর্ঘটনায় বিমানের যে ক্ষতি হয়েছে তা যাতে দায়ী ব্যক্তিদের কাছ থেকে আদায় করা যায় তার জন্য বিধিবিধানও সংশোধন করা হবে।’
এর আগে গত ১০ এপ্রিল দুপুরে বিমানের বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ হ্যাঙ্গারের ভেতরে প্রবেশ করানোর সময় আগে থেকেই সেখানে থাকা বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।
ফলে ৭৭৭ উড়োজাহাজের র্যাডোম ও সামনের বাল্কহেড এবং ৭৩৭ উড়োজাহাজের বাম দিকের আনুভূমিক স্ট্যাবিলাইজারের কোনার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সেই সময় দায়িত্বে অবহেলার জন্য বিমানের পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়।