মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার মিল্টনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের এসআই সুকান্ত বিশ্বাস। আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী মো. আবু হানিফ। তবে শুনানির জন্য সময় চান তিনি।বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।সোমবার আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে চন্দ্র শেখর হালদারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মাউশিতে ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে গত ১৩ মে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় চাকরিপ্রার্থী ছিলেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৯৪ জন।
পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় লালবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক ।
অভিযোগে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী পদে পরীক্ষা শুরু হয় বেলা ৩টায়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সুমন জোয়াদ্দার নামের এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানান, বেলা ২টা ১৮ মিনিটে তার মুঠোফোনে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, ওই নিয়োগ পরীক্ষার ইডেন কলেজ কেন্দ্র সমন্বয় করার দায়িত্বে থাকা মিল্টন পরীক্ষার প্রশ্নপত্রটি ফাঁস করেন।