রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গে সংযোগ স্থাপনকারী পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছিল এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে ওই অঞ্চলের নৌপথে। সেই শঙ্কাই বাস্তব হয়ে ধরা পড়ল দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের ব্যবসায়।
এরই মধ্যে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে যাত্রী না পাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়ে গ্রিন লাইনের ওয়াটার ওয়েজ সার্ভিস। লাগাতার লোকসান সামাল দিতে বরিশালগামী এ সার্ভিস বন্ধ করে দেয় গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার থেকে ঢাকা-হিজলা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী এম ভি গ্রিন লাইন-৩ জাহাজটি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়।
গ্রিন লাইনের ম্যানেজার মো. শফিউল্লাহ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর পর বরিশালের যাত্রীরা আর জাহাজে যেতে চাচ্ছেন না। আমাদের ক্যাপাসিটি রয়েছে ৭০০ জনের, সেই জায়গায় যাত্রী পাওয়া যায় সর্বোচ্চ ১০০। এই জন্য বরিশাল রুটে জাহাজটি আমরা বন্ধ রাখছি।’
তিনি জানান, ঢাকা থেকে জাহাজ ছেড়ে বরিশাল গিয়ে আবার ঢাকায় ফিরে আসতে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ হয়। প্রত্যাশিত পরিমাণ যাত্রী না পাওয়ায় প্রতিদিনই আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লস (ক্ষতি) হচ্ছে।
ঢাকা-হিজলা-বরিশাল রুটে গ্রিন লাইনের জাহাজ বন্ধ থাকলেও ঢাকা-কালীগঞ্জ- ইলিশা রুটে এম ভি গ্রিন লাইন-২ চালু থাকবে বলে জানান তিনি।
গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সাল থেকে ‘গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজ’ নামে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন নৌপথে এমভি গ্রিন লাইন-১ নামে লঞ্চ ছাড়ে। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে এমভি গ্রিন লাইন-২ ও এমভি গ্রিন লাইন-৩ নামের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত দুটি জলযান যাত্রী পরিষেবায় যোগ করে।