হাজারও মানুষের শ্রদ্ধায় গাইবান্ধার সাঘাটায় নিজ গ্রামে সমাধিত হলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া।
সাঘাটার গটিয়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে সোমবার বিকেলে বড় ছেলে আফজালুর রাব্বী ও ছোট ছেলে আরিফ রাব্বীর কবরের মাঝে দাফন করা হয় তাকে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে সোমবার সকালে তার মরদেহ দেশে আসে। বিমানবন্দর থেকে ডেপুটি স্পিকারের মরদেহ নেয়া হয় জাতীয় ঈদগাহে। সেখানে তার জানাজা হয়। এরপর বেলা সোয়া ২টার দিকে সাঘাটার হেলেঞ্জা গ্রামে হেলিকপ্টারে করে ফজলে রাব্বীর মরদেহ এসে পৌঁছে।
সেখান থেকে মরদেহ নেয়া হয় বোনারপাড়ার ভরতখালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, শিক্ষকসহ অনেকে। রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অফ অনার দেয়া হয়। এরপর মরদেহ নেয়া হয় তার নিজ গ্রামে।
নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ভাই মো. ফরহাদ রাব্বী ও মেয়ে ফারজানা রাব্বী বুবলি।
নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ফজলে রাব্বী মিয়ার। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
প্রায় ৯ মাস ধরে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ফজলে রাব্বী মিয়া। গত বছরের জুনে তার পেটে থাকা টিউমার অপসারণ করা হয়।
সে অস্ত্রোপচারের পর পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় ফজলে রাব্বীর শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। এমন বাস্তবতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আগস্টে তাকে ভারত নেয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাকে নেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
ফজলে রাব্বী মিয়া গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের টানা সাতবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৪৬ সালের ১৫ এপ্রিল জেলার সাঘাটা উপজেলার গটিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।