নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম এবং ইউএনও কার্যালয়ের নাজির উকিল মিয়াকে।
আদালতের নোটিশ জারিকারকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, ঘটনার দিন ইউএনও তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। নাজির উকিল মিয়াকে সতর্ক করে আদালত বলেছে, আদালত এবং আদালতের দায়িত্ব পালনে সতর্ক থাকতে হবে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে আচরণ ঠিক করতে হবে।
এ ধরনের ঘটনা প্রথমবার হওয়ায় আদালত তাদের সতর্ক করে ক্ষমা করে দেয় বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোজাম্মেল হক।
আদালতে ইউএনও মো. রেজাউল করিমের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মাহবুব শফিক। নাজির উকিলের পক্ষে ছিলেন মো. মোজাম্মেল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে গত ২১ জুন আদালতের নোটিশ জারিকারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিচারের হুমকি দেয়ার ঘটনায় হাইকোর্টের তলবে ইউএনও মো. রেজাউল করিম ও নাজির উকিল মিয়া হাজির হয়েছিলেন।
ওই দিন আদালত ইউএনওকে উদ্দেশ করে বলেছিল, আপনি একটি পক্ষ নিয়ে যে আচরণ করেছেন তা সভ্য রাষ্ট্রের জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। সেদিন বোয়ালমারী উপজেলার ইউএনও মো. রেজাউল করিম ও নাজির উকিল মিয়াকে ভর্ৎসনা করে আদালত।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ‘ছরোয়ার শেখ বনাম নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ’ মামলাটি ফরিদপুরের বোয়ালমারী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে বিচারাধীন। এ মামলার নোটিশ জারির জন্য ফরিদপুর জেলা জজ আদালতের নেজারত শাখার জারিকারক কামাল হোসেন ও মেহেদী হাসান গত ২৭ এপ্রিল বেলা আড়াইটার দিকে বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে যান।
ওই সময় ইউএনও এবং নাজিরের হাতে লাঞ্ছিত হন তারা। নোটিশ জারিকারকদের পা ধরে মাপ চাইতে বাধ্য করা এবং তার নির্দেশনা মতে মুচলেকা দিতে বাধ্য করার অভিযোগ করা হয় ইউএনওর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে এবং তাদেরকে তলব করে।