কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আওয়ামী লীগ নেতা মো. মেহেরুল ইসলাম ও কলেজশিক্ষক মো. বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে গুলি করে হত্যার ১৩ বছর পর মামলার পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার বেলা ২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম চাঞ্চল্যকর এই জোড়া খুনের মামলার এ রায় দেন।
কুষ্টিয়া আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার তারিক, কামাল রেজা নিপু, সিরাজুল ইসলাম মাসুদ, রায়হান আলী এবং সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের সিদ্দিক ওরফে বাংলাভাই।
আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, রায় ঘোষণার সময় চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসামি সিদ্দিক পলাতক। রায়ের পর চার আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ মামলায় আরও ১০ আসামিকে খালাস দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেরুল ইসলাম ও কলেজশিক্ষক মো. বান্দা ফাত্তাহ মোহনকে গুলি করে হত্যা করে আসামিরা। রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে তারা ভেড়ামারা শহরের রেলবাজার এলাকায় একটি কাপড়ের দোকানে বসা ছিলেন। এ সময় আসামিরা তাদের এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে।
১৭ আগস্ট ভেড়ামারা থানার এসআই শেখ আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
২০১১ সালের ২২ জুলাই পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। আদালত এ মামলায় ১৬ জনে সাক্ষ্য নেয়। দোষী প্রমাণ হওয়ায় পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।