বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূর্বশত্রুতার জেরে মাদ্রাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা

  •    
  • ২৪ জুলাই, ২০২২ ০৯:৫৫

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ জানান, ঘটনার পর থেকে মাসুদ গ্রুপের লোকজন আত্মগোপন করেছে। লুটপাটের আশঙ্কায় অনেকেই গরু-ছাগলসহ মূল্যবান মালপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের সড়কির কোঁপে এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়েছে।

পলাশবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরঝামা গ্রামে শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

১৪ বছরের হাসিবুল ইসলাম ঝামা বরকাতুল উলুম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. কলিমুল্লাহ এসব তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এ ঘটনায় অন্তত ১০টি বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, চরঝামা গ্রামে দুটি দল রয়েছে। স্থানীয় একটি পক্ষের নেতৃত্বে রয়েছে জেলা ছাত্রদলের সদস্য মাসুদুর রহমান অন্য পক্ষের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে বৃহস্পতিবার চরঝামা স্কুলের মাঠে জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে মাসুদ গ্রুপের ইউসুফের সঙ্গে আসাদ গ্রুপের জাহাঙ্গীর হোসেনের কথা-কাটাকাটি ও দ্বন্দ্ব হয়। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যস্থতা হয়।

হাসিবুলের বড় ভাই আমানত মুন্সী জানান, শনিবার বিকেলে স্থানীয়রা চরঝামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার আয়োজন করে। খেলায় মাসুদ গ্রুপের ইউসুফের ছেলে সুমন ও আসাদুজ্জামান গ্রুপের মিজানুরের ছেলে লাকিজের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়।

বাড়িতে গিয়ে সুমন এ বিষয়ে জানালে মাসুদ গ্রুপের লোকজন দেশীও অস্ত্র নিয়ে স্কুলের মাঠে আসে। পরে লাকিজকে না পেয়ে হাসিবের ওপর হামলা চালায়। তাকে সড়কি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে হাসিবকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শারমিন জাহান টুম্পা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ জানান, হাসিবের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে রাতেই মাসুদ গ্রুপের লোকজনের ঘরে হামলা করে ভাঙচুর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় অনন্ত ১০টি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

ঘটনার পর থেকে মাসুদ গ্রুপের লোকজন আত্মগোপন করেছে। লুটপাটের আশঙ্কায় অনেকেই গরু-ছাগলসহ মূল্যবান মালপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপর আছে। নতুন করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর