রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থীর জন্য হোটেল খুঁজতে গিয়ে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।
নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়সংলগ্ন আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়ায় শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম দুলাল চন্দ্র। রাবির দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তিনি। তার বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায়।
অভিযোগ না পেলেও বিষয়টি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মো. জাহাঙ্গীর আলম।
জানা গেছে, আলীগঞ্জ পশ্চিমপাড়ায় রাস্তার পাশে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন দুলাল। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রিকশায় করে ক্যাম্পাসে পাঠিয়ে দেন। পরে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তাকে রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে নিউজবাংলাকে হুমায়ুন বলেন, ‘রাবিতে আসন্ন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তীচ্ছু এক শিক্ষার্থীর জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর মোড়ে আবাসিক হোটেল খুঁজতে যান দুলাল। সেখানে তার সঙ্গে তিন ব্যক্তির পরিচয় হয়। তারা দুলালকে হোটেলে সিটের ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন বলে জানান।
‘এরপর তারা দুলালকে রিকশায় করে লক্ষ্মীপুরের পাশে আলীগঞ্জের পশ্চিমপাড়ায় নিয়ে গিয়ে রিকশা থেকে নামিয়ে মারধর করে তার কাছ থেকে টাকা-পয়সাসহ মোবাইল ছিনিয়ে নেন। দুলালের কাছে তারা তিনজন কটা, আলাল ও হাসিব নামে পরিচয় দেন।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালের চিকিৎসক ডাক্তার সলীল সমাদ্দার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাকে (দুলাল) মাথার পেছনে মারা হয়েছে এবং হাতের কবজিতে ব্লেডের আঘাত রয়েছে। মাথার পেছনে মারধরের আঘাত দেখে মনে হয়েছে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছে এবং সে কারণে ফুলে আছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে পাঠিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। আগে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর চিকিৎসাটা জরুরি। তারপর কারা এমন করেছে, কী কারণে করেছে তা বের করা হবে।’
রাজপাড়া থানার ওসি বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’