বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি মামলায় চার্জশিট গ্রহণ

  •    
  • ২১ জুলাই, ২০২২ ১৭:৩৭

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র আমলে নেয় এবং এ মামলায় পলাতক দুই আসামি আজাদ ও রবিউলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নথি বের করে জালিয়াতির মাধ্যমে তার সিদ্ধান্ত বদলে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. শাহজাহানসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত এ অভিযোগপত্র আমলে নেয় এবং এ মামলায় পলাতক দুই আসামি আজাদ ও রবিউলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩১ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়।

চার্জশিটভুক্ত বাকি ৭ আসামি হলেন- কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম মুমিন, ফরহাদ হোসেন ওরফে মোরশেদ আলম, ফাতেমা খাতুন, নাজিম উদ্দিন, মো. রুবেল, এম আবদুস সামাদ আজাদ ও রবিউল আউয়াল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ পদে ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়।

এই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার পর তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নথিটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতিপর্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে এলে তিনি এম আবদুস সালাম আজাদ অনুমোদন পাননি বলে ফোনে তরিকুলকে জানিয়ে দেন।

এরপরই তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী, নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে কৌশলে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। এই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেন এবং হস্তান্তরের পর দ্বিতীয় দফায় আরও ১০ হাজার টাকা তার ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেন।

এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৫ মে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরিচালক-৭ মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলা করেন।

একই বছরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা তরিকুল ইসলাম মমিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশ। কিন্তু মামলার অপরাধের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা ও ধারা দুদকের তফসিলভুক্ত হওয়ায় আদালত তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেয়।

২০২২ সালের ১৮ মে দুদকের পরিচালক ফরিদ উদ্দিন নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মো. শাহজাহানসহ আটজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে পাঠানো সারসংক্ষেপের প্যাকেট খুলে টেম্পারিং করা হয়।

আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে সারসংক্ষেপের এক নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তির নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত টিক চিহ্নটি টেম্পারিং করেন। তার নামের পাশে ক্রস চিহ্ন বসিয়ে দেন আসামিরা। ২ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তির নামের পাশেও ক্রস চিহ্ন বসিয়ে দেন তারা।

এরপর সারসংক্ষেপের ৩ নম্বর ক্রমিকে বর্ণিত ব্যক্তির নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন আসামিরা। এভাবে তারা অতি গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় নথি জালিয়াতির অপরাধ করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর