কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরের ঘরে বসে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ড্রাইভিং লাইসেন্স ও বিভিন্ন জাল সনদপত্র বানানোর অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা।
প্রতারণা ও জালিয়াতি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রাতে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয় তাদের।
৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. আবদুল্লাহ, আবুল খায়ের, মো. ইসমাইল, মো. ত্বালহা ও মো. হারুন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন বলেন, ‘অভিযুক্তরা এক রোহিঙ্গার ঘরে বসে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অল্প সময়ের মধ্যে ভুয়া এনআইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিভিন্ন প্রকার জাল সনদ তৈরি করে আসছিল। এ ধরনের ভুয়া জাল সনদ ও আইডি তৈরির কথা আমাদের কাছে খবর এলে আমাদের একটি টিম ওই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
‘এরই ধারাবাহিকতায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে উখিয়া লম্বাশিয়া ১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুল্লাহর ঘর থেকে এক প্রতারকচক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।’
অভিযানে তল্লাশি করে ৪টি ল্যাপটপ, ৮টি স্মার্টফোন, ৪টি পেনড্রাইভ, ২টি স্ক্যানারসহ প্রিন্টার, ২৮টি অনলাইন ডুপ্লিকেট জন্ম নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশন, ১১টি জন্ম নিবন্ধন তথ্য যাচাই, ৩০টি নকল জন্মসনদ, ২০টি নকল এনআইডি, সোনালী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকের চেক বই ও জমা দেয়ার বই, ৫টি সিল ও একটি সমবায় সমিতির নিবন্ধন সনদপত্র জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া ২০টি শাহপুরি বাস্তুহারা আদর্শ গ্রাম সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্য ফরম, ৩৫টি টাকা জমা দেয়ার পাস বহিঃ, ৮টি ৪ নম্বর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ট্রেড লাইসেন্স, যার প্রতিটিতে মো. আবদুল্লাহ নামে লিপিবদ্ধ, ৪ নম্বর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের জাতীয়তা সনদসহ আরও বিভিন্ন নামের ৪টি জাতীয়তা সনদ, ৪ নম্বর রাজাপালং ইউনিয়ন পরিষদের ভূমিহীন সনদ ৫টি, আবদুল্লাহ নামের ইলেকট্রিক বিলের কাগজপত্র, বিভিন্ন ধরনের জায়গাজমির দলিল ও খতিয়ান, মো. ইসমাইলের জন্মসনদ ও আইডি কার্ড, মো. ত্বালহার সিটি করপোরেশনের জাতীয় সনদ, জন্মসনদ এনআইডি (নকল) ও মো. হারুন এর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিও জব্দ করা হয়।