চট্টগ্রামে গায়ে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামী-শ্বশুরসহ পাঁচজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর হোসেন মামুন।
তিনি জানান, সোমবার বিকেলে মিরসরাইয়ের দক্ষিণ ধূম এলাকায় গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাতে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এলাকার রুপম কুমার দের স্ত্রী রুপনা দাস। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
সেদিনই নিহতের বোন বিউটি দাস জোরারগঞ্জ থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা করেন। মামলায় নিহতের স্বামী রুপম কুমার দে, শ্বশুর রাখাল কুমার দে, শাশুড়ি বেলা রানি দে, ভাশুর কাঞ্চন কুমার দে এবং জা উর্মিকে আসামি করা হয়। মামলার পর মঙ্গলবার অভিযান পরিচালনা করে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার পাঁচ আসামিকেই বিকেলে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
রুপনা দাসের আত্মীয়দের বরাতে ওসি আরও জানান, বছর তিনেক আগে একই উপজেলার মিঠানালা ইউনিয়নের মলিয়াইশ গ্রামের নিরঞ্জন দাসের মেয়ে রুপনা দাস ধুম ইউনিয়নের রুপম দাসকে বিয়ে করেন। বিয়েতে দুজনের পরিবারেরই অমত ছিল, কারণ রুপমকে বিয়ের আগে রুপনার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল।
তাই বিয়ের পর থেকে উপজেলার বারৈয়ারহাটে ভাড়া বাসায় থাকতেন রুপনা-রুপম দম্পতি। সম্প্রতি পারিবারিক ঝামেলায় রুপম বাসা ছেড়ে চলে গেলে রুপনা দুই বছর বয়সী কন্যাশিশুকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির কেউ তাকে গ্রহণ করতে রাজি হয়নি৷
একপর্যায়ে সোমবার বিকেলে ব্যাগে করে কেরোসিন নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে গায়ে ঢেলে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।