কুমিল্লায় আরাফাত ইসলাম নামের ১৫ মাস বয়সী এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার অভিযোগে পুলিশ আটক করেছে তার মা রোকসানা আক্তারকে। ৩২ বছর বয়সী এ নারী ‘স্বামীর অবহেলায়’ ক্ষিপ্ত হয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে পুলিশ দাবি করেছে।
মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের বারাইয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশু আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শুভ রঞ্জন চাকমা শিশু হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘মামলা প্রক্রিয়াধীন। শিশুর মা রোকসানা আক্তারকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’
স্বজনরা জানান, রোকসানার বাড়ি কাশিনগর গ্রামে। তার পিতার নাম মান্নান মিয়া। কয়েক বছর আগে ইব্রাহিম হোসেন নামে বরিশালের এক যুবকের সঙ্গে রোকসানার বিয়ে হয়।
বিয়ের পর রোকসানা পিতার বাড়িতে থেকে যান। ইব্রাহিম যোগাযোগ রাখলেও স্ত্রীকে তার কাছে নিয়ে যাননি। এরই মাঝে আরাফাতের জন্ম হয়। স্ত্রী-সন্তানের খরচ দেয়া তো দূরের কথা, ইব্রাহিম তাদের দেখতে আসেননি অনেক দিন।
রোকসানার বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, যৌতুক দাবি নিয়ে তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। এ নিয়ে ইব্রাহিম বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ফোনে গালিগালাজ করেন এবং স্ত্রীকে হুমকি দেন। মঙ্গলবার দুপুরে ইব্রাহিম ফোন করে ‘আজেবাজে কথা’ বলায় রাগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে রোকসানা ১৫ মাস বয়সী আরাফাতকে পুকুরে ছুড়ে মারেন।
প্রতিবেশীরা সংবাদ পেয়ে শিশু আরাফাতকে পুকুর থেকে তুলে স্থানীয় দরবেশ পাড়া বাজারে নিয়ে যান। সেখানে থাকা এক চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
মর্মান্তিক এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুলিশ শিশুর মা রোকসানাকে থানায় নিয়ে যায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুকে পুকুরে ফেলার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেন। পুলিশ শিশুটির পিতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে।