বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মডেল রাউধা হত্যা মামলা ফের তদন্তের নির্দেশ

  •    
  • ১৯ জুলাই, ২০২২ ২১:৩৩

ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলকক্ষ থেকে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ বিছানার ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় রাউধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, রাউধা ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন।

রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ও মডেল রাউধা আতিফ হত্যা মামলা আবারও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে।

রাজশাহীর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালত-৩ এর বিচারক মহিদুর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে শুনানি শেষে এই আদেশ দিয়েছেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আসলাম সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মালদ্বীপের বাসিন্দা রাউধা আতিফ ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। আন্তর্জাতিক সাময়িকী ‘ভোগ’ এর মডেল হয়েছিলেন তিনি। তার বাবা চিকিৎসক মোহাম্মদ আতিফ বাংলাদেশি ও মা আমিনাথ মুহাররিমার মালদ্বীপের নাগরিক। ইসলামী ব্যাংক মেডিক্যাল কলেজের বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করছিলেন রাউধা।

তার হোস্টেলকক্ষ থেকে ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ বিছানার ওপর পড়ে থাকা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, রাউধা ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন। পুলিশ যাওয়ার আগেই দরজা ভেঙে লাশটি নামানো হয়।

তবে রাউধার বাবা ডা. আতিফের শুরু থেকে দাবি ছিল, তার মেয়ে আত্মহত্যা করেননি। তাই তিনি রাউধার সহপাঠী সিরাত পারভীনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। প্রথমে ময়নাতদন্ত শেষে রাউধার লাশ রাজশাহীতে দাফন করা হয়। হত্যা মামলার পর লাশ তুলে ফের ময়নাতদন্ত করা হয়। দুই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই বলা হয়, রাউধা আত্মহত্যা করেছেন।

২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর শাহমখদুম থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার আলী তুহিন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক আসমাউল হক আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। এতে নারাজি দেন রাউধার বাবা। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়।

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সাইদুর রহমান ২০১৯ সালের ১৮ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তাতে বলা হয়, মামলার আসামি সিরাত পারভীনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাউধার বাবা আতিফ। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবারও মামলাটি তদন্তের আবেদন করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মঙ্গলবার পুনঃতদন্তের আদেশ দেয়।

মামলার বাদী আতিফ জানান, তিনি নিশ্চিত যে রাউধা আত্মহত্যা করেননি। তাকে হত্যা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবারই তদন্ত প্রভাবিত হয়েছে। তিনি ন্যায় বিচার পাননি।

তিনি আরও জানান, এবার তদন্তে হত্যার বিষয়টি উঠে আসবে বলে আশা করছেন।

এ বিভাগের আরো খবর