পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল থেকে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
রোজগার্ডেন হোটেলের একটি রুম থেকে সোমবার সন্ধ্যায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই কিশোরীর বাড়ি শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হোটেল মালিক মো. ইব্রাহিম জানান, ভেদরগঞ্জ ও ডামুড্যা এলাকার ঠিকানা দিয়ে রোববার সকালে স্বামী-স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে ওই কিশোরী এবং এক কিশোর পর্যটক হোটেলের একটি রুমে ওঠে। তাদের সঙ্গে আসা সমবয়সী আরও দুই পর্যটক ওঠে অন্য একটি রুমে।
সোমবার দুপুরে তাদের রুম ছাড়ার কথা থাকলেও বিকেলে তারা জানান, আরও এক দিন তারা হোটেলে থাকবেন।
সন্ধ্যায় সৈকত থেকে এসে রুম ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পায় মেয়েটির সঙ্গী। ম্যানেজারকে ডাকলে তিনি এসে পাশের জানালা ভেঙে দেখেন কিশোরী ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
ছেলেটির বাবা নিউজবাংলাকে জানান, তার ছেলে ভেদরগঞ্জে একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র এবং অবিবাহিত। বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে গত রোববার বাসা থেকে বের হয় সে।
তিনি বলেন, ‘সোমবার রাত ১১টার দিকে কুয়াকাটার পুলিশ আমাকে খবর দেয়।’
তিনি আরও জানান, মেয়েটি তাদের প্রতিবেশী। সে তার ছেলের স্কুলে লেখাপড়া করে। তবে তারা একসঙ্গে যে কুয়াকাটায় গেছে সেটি জানা ছিল না তার।
ওসি আবুল খায়ের জানান, মেয়েটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়েটির নানা মামলা করেছেন। এই মামলায় ওই ছেলে, তার পর্যটক বন্ধু ও হোটেল ম্যানেজার মো. ইমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের আওতাভুক্ত সব মালিককে কড়া নির্দেশনা দেয়া আছে পর্যটক রুমে ওঠানোর আগে তাদের পরিচয় সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা।’
মহিপুর থানার ওসি আবুল খায়ের আরও বলেন, ‘মিথ্যা পরিচয় দিয়ে হোটেলে কীভাবে রুম পায় এবং এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কোনো কিছু লুকিয়ে আছে কি না, সবকিছু আমরা ভালোভাবে যাচাই করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেব।’