বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তলোয়ার-রাইফেলের বক্তব্য কৌতুক ছিল: সিইসি

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ২০:২২

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ববি হাজ্জাজ হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তি। উনি অস্ত্রের প্রসঙ্গ তুললেন৷ আমি বললাম, আপনিও একটা বন্দুক নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা কি কখনো মিন করা হয়? একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এতটুকু জ্ঞান নেই?’

তলোয়ারের বিপরীতে রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে পরামর্শ দেয়ার বক্তব্য নিছক কৌতুক ছিল বলে দাবি করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এ কথা মন থেকে বলেননি বলেও জানান তিনি।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপ চলাকালে নিজের এমন অবস্থানের কথা জানান সিইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি মিডিয়ার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। ববি হাজ্জাজ হাস্যোজ্জ্বল ব্যক্তি। উনি অস্ত্রের প্রসঙ্গ তুললেন৷ আমি বললাম, আপনিও একটা বন্দুক নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা কি কখনো মিন করা হয়? একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের এতটুকু জ্ঞান নেই?’

নির্বাচন ভবনে রোববার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল-এনডিএমের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। এ সময় ভোটের মাঠে কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকে রাইফেল অথবা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন সিইসি।

সোমবারের সংলাপকালে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘দেশের পেপারগুলোতে এটা প্রধান খবর। কথাটা অন্তর থেকে বলেছি না কৌতুক করেছি তা বুঝতে হবে। এটা একটা মানুষকে নামিয়ে দেয়া। এরপর আর মনোবল থাকে কাজ করার? কাজ করার কোনো মনোবল থাকে না। ইচ্ছেও করে না।’

সংলাপে সরকারি দলকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘ওনাকে (ওবায়দুল কাদের) আমার রুমে আনা হয়নি। পাশের রুমে বসিয়ে তারপর এখানে আনা হয়েছে। ওনাদেরকে আমাদের অফিসাররা রিসিভ করেছেন। আমাদের কোনো কমিশনার রিসিভ করেননি। তিনি আগের পরিচিত তাই স্যার বলে সম্বোধন করেছিলাম। তা নিয়েও সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছি। তারপর শিখলাম যে না স্যারও বলা যাবে না। এটা উনি (কাদের) আমাকে জ্ঞানদান করলেন।’

ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত মাতামাতি ও বাড়াবাড়ি নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘এটি ডিজিটাল কারচুপির বাক্স। সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শতভাগ আসনে ইভিএম চান। আর ইসিও মাতামাতি করে। ইসি ও সরকারের ভূমিকা এক কাতারে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, ইসি বিশেষ এজেন্ডা নিয়ে এসেছে কী না। ইভিএম অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার।’

সিইসির তলোয়ার বক্তব্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিইসির বক্তব্যে উদ্বেগ ও সমালোচনার তৈরি হয়েছে। সিইসি খুব চাপের মধ্যে আছেন কী না জানি না। চাপে থাকলে অনেক সময় অসংলগ্ন কথা বেরিয়ে পড়ে।’

এদিকে সিইসির তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রধানতম দল অংশ না নিলে নির্বাচন সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই, আপনারা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে দিন। বিএনপির ইচ্ছার পক্ষ-বিপক্ষে কমিশনের কোনো বক্তব্য নেই। বিদ্যমান কাঠামোতে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কমিশন এগিয়ে যাবে।’

সাইফুল হকের নির্বাচন ধ্বংসের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা, রাজনীতিসহ অনেক কিছুই পচে গেছে। এখানে নির্বাচন করা অনেক কঠিন কাজ। রাজনীতিতে অর্থশক্তি আছে-সেটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করব?’

এ বিভাগের আরো খবর