বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিশ্বজিৎ হত্যায় ৩ দিনের ব্যবধানে সাজাপ্রাপ্ত আরেক আসামি গ্রেপ্তার

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ১৭:১৯

র‍্যাব-৩-এর পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ জানতে পারে, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল হাসান রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য র‍্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। অবশেষে রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামরুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রাজধানীর পল্টনের চামেলীবাগ এলাকা থেকে রোববার রাতে কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‍্যাব-৩-এর পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বিশ্বজিৎ হত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আলাউদ্দিনকে শুক্রবার বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

র‍্যাব-৩-এর পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ জানতে পারে, বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামরুল হাসান রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় আত্মগোপন করে আছেন। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়। অবশেষে রোববার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল জানান, ঘটনার দিন বিশ্বজিৎকে প্রতিপক্ষ দলের সদস্য ভেবে তাকে তারা ধাওয়া করে। তারপর মামলার আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। বিশ্বজিৎ আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারপর তিনি জানতে পারেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে বিশ্বজিতের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনায় সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। মামলার পর কামরুল আত্মীয়ের আশ্রয়ে ভারতে আত্মগোপন করেন বলে জানায় র‌্যাব। মামলার অভিযোগপত্র দেয়ার দুই মাস পর তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

র‍্যাব জানায়, ১৯৯৪ সালে বাবার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কামরুল সপরিবারে ঢাকায় বাস করতেন। বাবার মৃত্যুর পর তারা গ্রামের বাড়ি চলে যান। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের একটি স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন।

২০০৫ সালে তিনি ঢাকার একটি কলেজে অ্যাকাউন্টিং অনার্সে (সম্মান) ভর্তি হন। তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কামরুলকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলার সময় ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয় দরজি বিশ্বজিৎ দাসকে। সে ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে আলোচিত হয়।

বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডে ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র জমা করা হয়। মামলাটি পরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মামলার রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।

নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আট আসামির মধ্যে দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন এবং অপর দুজনকে খালাস দিয়ে ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেয়। পরবর্তীতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে দুজন আপিল করলে খালাস পান।

এ বিভাগের আরো খবর