বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবিতে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

  •    
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ০৮:৪৪

ওসমানীনগর থানার ওসি এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারাসহ সবার প্রচেষ্টায় অবরোধ তুলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

ঘনঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে সিলেটের ওসমানীনগরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের খাশিকাপন পল্লী বিদ্যুতের সাবস্টেশন এলাকা রোববার রাত ৯টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা।

এ সময় তারা পল্লী বিদ্যুতের ওসমানীনগর কার্যালয়ের ডিজিএম মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরীর অপসারণ এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি করেন। এদিকে অবরোধের কারণে মহাসড়কে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। দূরপাল্লাগামী কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। এতে অ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েক হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের পর ওসমানীনগর থানা পুলিশ এবং স্থানীয় সরকারদলীয় নেতারা ঘটনাস্থলে এসে রাত সোয়া ১১টার দিকে অবরোধকারীদের সরিয়ে নেন।অবরোধকারী স্থানীয় শায়েক আহমদ বলেন, ‘হঠাৎ করে এলাকায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে গেছে। তীব্র গরমের মধ্যেও সারা দিন বিদ্যুৎ থাকছে না। রোববার সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পুরো এলাকা বিদ্যুৎহীন অবস্থায়।’তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের ডিজিএমের খামখেয়ালি ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণেই এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।’ওসমানীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনা মিয়া বলেন, ‘বিদ্যুতের জন্য মহাসড়ক অবরোধ করায় দুই দিকে কয়েক শ যানবাহন আটকা পড়ে। এতে অনেক মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। আমাদের অনুরোধে তারা অবরোধ তুলে নেন। তখন যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারাসহ সবার প্রচেষ্টায় অবরোধ তুলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। এখন এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’অভিযোগ অস্বীকার করে খাশিকাপন পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ‘শনিবার রাতে আমাদের এখানে সমস্যা ছিল না। রোববার বিশ্বনাথের মূল সরবরাহ লাইনের দুটি তার ছিড়ে যাওয়ায় বিদ্যুৎ ছিল না, তবে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের।’

এ বিভাগের আরো খবর