কে আগে ভিড়বে এমন প্রতিযোগিতা করে পটুয়াখালীর বাউফলে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চ সজোরে এসে ধাক্কা খায় পন্টুনে। এ সময় লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুনে দাঁড়িয়ে থাকা নারী, শিশু ও বৃদ্ধ সহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে একই পরিবারের ৩ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বাউফল উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাটে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাউফল থানার ওসি আল-মামুন জানান, ঢাকাগামী এমভি ধুলিয়া ও এমভি বন্ধন নামে দুটি লঞ্চের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ওসি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি বলে নিশ্চিত হয়েছি।’
আহতদের মধ্যে যাদেরকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের কোব্বাত আলী গাজীর ছেলে ৫০ বছরের আশরাফ আলী গাজী, তার ছেলে মেহেদি হাসান ও মেহেদির ২ বছরের মেয়ে মার্জিয়া।
এদের মধ্যে মার্জিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গোলাম মুস্তাহিদ তাসরিফ।
আহত অন্যরা হলেন- উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ফারজানা, রোজিনা, রিয়া বেগম ও সজিব হোসেন। এদের বয়স ১৬ থেকে ৩২ বছরের মধ্যে।
আহত মার্জিয়ার বাবা মেহেদি হাসান জানান, ঈদ শেষে বাবা ও মেয়েকে নিয়ে ঢাকা যাবার উদ্দেশে বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ধুলিয়া লঞ্চঘাটের পন্টুনে অপেক্ষা করছিলেন তিনি। বিকাল সাড়ে ৫টার মধ্যে যাত্রীর ভিড় বেড়ে যায় সেখানে। সোয়া ৬টার দিকে কালাইয়া থেকে এমভি ধুলিয়া ও এমভি বন্ধন লঞ্চ দুটি কে আগে ঘাটে ভিড়বে এই প্রতিযোগিতা করে সজোরে এসে পন্টুনে ধাক্কা দেয়।
মেহেদি বলেন, ‘এতে লঞ্চের সামনের অংশের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আমরা আহত হই। এ সময় মার্জিয়া আমার কোল থেকে ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে। এতে সে বেশি আহত হয়।’