ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এডিস মশা নির্মূলে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ডেঙ্গু রোগীর তালিকা নিয়ে তাদের বাড়ির আঙিনা ও আশপাশে এ অভিযান চলছে। আর তা কেন্দ্রীয়ভাবে মনিটর করতে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
রোববার সকালে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মেয়র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ করা ডেঙ্গু রোগীর তালিকা দেন সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের। এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ছাদ ও আশপাশের এলাকায় চিরুনি অভিযান চালাতে নির্দেশ দেন তিনি। সেখানে লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বলেন মেয়র। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে মেয়র সরাসরি এসব কাজ দেখেন।
মেয়র তাপস বলেন, ‘এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধে আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলাম। এর মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সরাসরি তদারক করা হবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে কর্মীরা কাজ করছেন।
‘প্রত্যেক রোগীর ঠিকানা ধরে সেই বাসাবাড়ি এবং স্থাপনার ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হবে। কোথাও যদি এডিশ মশার উৎস থাকে, সেটা নির্মূল করা হবে। সেসব এলাকায় সকালবেলা লার্ভিসাইড করা হবে। বিকেলে আবার সেই এলাকাটায় ফগিং (অ্যাডাল্টিসাইডিং) করা হবে।’
মশক বিস্তার নির্মূলে দুই মাস এই কার্যক্রম চলবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘আমরা আশাবাদী ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হব। আমাদের সব কাউন্সিলর এরই মাঝে কাজে নেমে গেছেন। নিয়মিত কার্যক্রম আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সরাসরি তদারক করব।’
বিভিন্ন নির্মাণাধীন বাসা, সরকারি আবাসনসহ যেসব জায়গায় মশক বিস্তারের পরিবেশ মিলছে, সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে।
এ সময় ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।