আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) প্রধান কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে রোববার মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন চায় না; চায় সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন।
তিনি বলেন, আগামী ৩১ জুলাই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ১০ সদস্যদের প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেবে। রোববার থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এ সংলাপ চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। নির্বাচন কমিশনের ডাকে সংলাপে অংশ নেয়া সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। নির্বাচনের মাধ্যমে যারা সরকারের পরিবর্তন চান, তাদেরই নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের সংলাপে প্রত্যেকটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল অংশ নেবে, এমন প্রত্যাশা করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই নির্বাচনকে একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হিসেবে দেখতে চাই। সে কারণে নিবন্ধিত সবার অংশগ্রহণে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
নির্বাচনি ব্যবস্থায় আরও উন্নতি করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকটা এগিয়ে গেছেন জানিয়ে কাদের বলেন, ‘ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থা আরও আধুনিক, মানসম্মত করা হবে।’
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে— বিরোধী দলগুলোর এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশন যদি নিরপেক্ষ হয়, তাহলে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ হবে। এখানে সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা থাকবে না।
‘সরকার শুধু সহযোগিতা করবে কমিশনকে। নির্বাচনসংক্রান্ত সরকারের কোনো সংস্থা বা দপ্তর নির্বাচন চলাকালে, সরকারের নির্দেশে চলবে না; চলবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।’
শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনসংক্রান্ত যে রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান করেছে, সেখানে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়ে তাদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরি, বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্টরা।
তাদের উদ্দেশে কাদের বলেন, বিআরটিসি লাভের ধারায় ফিরে এসেছে। এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বিআরটিসি সরকারের যেন বোঝা না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে।