২০১২ সালের বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৫ এর বিচারক আলরাম কার্জী তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন৷
এট আগে শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার শিবগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। রাতেই তাকে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
জানা গেছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আলাউদ্দিন পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ছোটদাপ গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের পর আলাউদ্দিন ‘আত্মগোপন’ করেন। পুলিশের নথিতে ‘পলাতক’ আলাউদ্দিন স্ত্রীসহ ৭ জুলাই বগুড়ার মোকামতলা বন্দরে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, শিবগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার রাতেই আটোয়ারী থানায় আনা হয়। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি আলাউদ্দিন। এ মামলার রায়ে আলাউদ্দিনের যাবজ্জীবন সাজা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় পঞ্চগড়ের আটোয়ারী থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। এ কারণে গ্রেপ্তার আলাউদ্দিনকে আটোয়ারী থানা–পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।