অসদাচরণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিন বিচারককে ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ।
দণ্ড পাওয়া তিন বিচারক হলেন জামালপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারক ও বর্তমানে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) এম আলী আহমেদ। যশোরের সাবেক জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও বর্তমানে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুজ্জামান এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার (যুগ্ম জেলা জজ) ও বর্তমানে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান।
৬ জুলাই জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে মো. মাহমুদুল হাসান সম্পর্কে বলা হয়, ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। ব্যক্তিগত শুনানি শেষে তাকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড আরোপের সিদ্ধান্ত হলে সুপ্রিম কোর্ট এর সঙ্গে একমত পোষণ করে।
এরপর ৭ জুলাই আরও দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এম আলী আহমেদের বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগের দায়ে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
ব্যক্তিগত শুনানি শেষে তাকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড আরোপের সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। এর সঙ্গে সরকারও একমত পোষণ করে।
আর মো. ওয়াহিদুজ্জামানের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে ‘অসদাচরণ’ ও ‘দুর্নীতি’র অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়। কারণ দর্শানোর পরিপ্রেক্ষিতে তার লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে বক্তব্য, বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনায় ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়।
এরপর সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শের আলোকে মো. ওয়াহিদুজ্জামানকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড প্রদান করা হয়।