ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলায় অবৈধভাবে সরকারি গাছ কাটার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় স্থানীয় সম্ভু বর্মণকে প্রধান করে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চারজনকে আসামি করে মামলাটি করা হয়।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাদী ঠাকুরগাঁও বন বিভাগের কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম মণ্ডল।
তিনি জানান, ১২ জুলাই মঙ্গলবার রাতে আকচা ইউনিয়নে বটতলী বাজার থেকে ফারাবাড়ি হাটের সড়কে বন বিভাগের রোপণ করা চারটি মূল্যবান আকাশমনি গাছ অবৈধভাবে কেটে নেন অভিযুক্তরা৷
পরে সেগুলো বিক্রির জন্য ট্রাক্টরে তোলা হয়। টের পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ট্রাক্টরসহ গাছগুলো জব্দ করে পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসেন৷ পরে খবর দিলে বন বিভাগ আইনি ব্যবস্থা নেয়।
শফিউল ইসলাম মণ্ডল বলেন, ‘গাছের ১১টি টুকরাসহ ট্রাক্টরটি সরকারের হেফাজতে রয়েছে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া ট্রাক্টরটি ছাড়া হবে না।’
এদিকে মামলার প্রধান আসামি সম্ভু বর্মণের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে উজাড় করার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে এলাকাজুড়ে। এর আগেও ক্ষমতার দাপটে সড়কের একাধিক গাছ কেটে বিক্রি করেছেন বলে নিউজবাংলাকে স্থানীয় অনেকেই অভিযোগ করেছেন। তাই সম্ভু বর্মণসহ সহযোগীদের শাস্তির দাবি করেছেন তারা।
স্থানীয় শিক্ষক ওবায়দুল রহমান বলেন, ‘প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে সরকারি গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। কোনোভাবেই যেন সরকারি গাছ কেটে বিক্রির মতো অপরাধকে ছোট করে দেখা না হয়। দ্রুত আসামিদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’
আকচা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বাবলু রহমান বলেন, ‘কাটা গাছগুলো জব্দ করে আমরা পরিষদে নিয়ে যাই। শ্রমিকরা সম্ভু বর্মণের নির্দেশেই গাছ কেটেছে বলে জানিয়েছেন। ঘটনায় যেহেতু মামলা হয়েছে, নিশ্চয় বিচার হবে।’
ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত বর্মণ বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। গাছের টুকরা ও ট্রাক্টর ইউনিয়ন পরিষদেই রয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে সম্ভু বর্মণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে ফোনের লাইন কেটে দেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মো. সামশুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি গাছ কেটে বিক্রি করা অপরাধ। বন বিভাগ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। নিশ্চয় অপরাধীদের বিরুদ্ধে যাথযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি (তদন্ত) আতিক হাসান বলেন, ‘সরকারি গাছ কাটার দায়ে জেলা বন বিভাগের পক্ষ থেকে মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’