বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যশোর বোর্ডের ৭ কোটি টাকা লোপাটে চাকরি গেল কর্মচারীর

  •    
  • ১৪ জুলাই, ২০২২ ১৯:৩৭

যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘২৫ জুন আমরা চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। সেখানে বলা হয়েছে, আবদুস সালামের যোগসাজশে ৭ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। তিনি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ।’

চেক জালিয়াতির মাধ্যমে যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাত কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় পলাতক কর্মচারী আবদুস সালামকে চাকরিচ্যুত করেছে কর্তৃপক্ষ।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে তিনি একজন। শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন ওই মামলার আসামি। মামলাটির তদন্ত এখনও চলছে।

তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার আবদুস সালামকে চূড়ান্তভাবে চাকরিচ্যুত করেছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড যশোরের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আহসান হাবীবের সই করা অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার নিউজবাংলাকে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেন।২০২১ সালের ৭ অক্টোবর যশোর শিক্ষা বোর্ডের ৩৮টি চেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ৭ কোটি টাকা লোপাট করা হয়। এই ঘটনার পর বোর্ড কর্তৃপক্ষ যশোর দুদকে লিখিত অভিযোগ করে। তদন্তে নেমেই দুদক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করে। এতে আসামি করা হয় পাঁচজনকে।

আসামিরা হলেন, শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন চেয়ারম্যান ড. মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, কর্মচারী আব্দুস সালাম, জালিয়াতি চক্রের প্রধান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক আবদুল মজিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক সিদ্দিক আলী বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলম।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের তৎকালীন উপপরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে তদন্ত কর্মকর্তা বদলি হন। তখন দুদকের নতুন উপপরিচালক হিসেবে মো. আল আমিন যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি মামলাটির তদন্ত করছেন।

শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২২ ফেরুয়ারি বোর্ডের হিসাব সহকারী আবদুস সালামকে শোকজ করা হয়। ১০ কর্মদিবসে তাকে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। গত ৫ মার্চ আবদুস সালাম শোকজ নোটিশের জবাবের সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। বোর্ড কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া না দেয়ায় ৯ মার্চ ডাকে তিনি শোকজের জবাব পাঠান। পরে কর্মচারী সালামের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সে জন্য তদন্ত কমিটি হয়। এর প্রধান ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধব চন্দ্র রুদ্র।

এই বিষয়ে বক্তব্য নিতে অভিযুক্ত আবদুস সালামের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

আবদুস সালামের ছোট ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শোকজের জবাব ডাকযোগে ও চেয়ারম্যানের পিএর হাতে পৌঁছে দিই। জবাবে এই ঘটনায় জড়িতদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।’

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, অভিযুক্ত কর্মচারী আব্দুস সালাম ২০২১ সালের অক্টোবরে দুই দফায় প্রায় ৩১ লাখ টাকা ফেরত দেন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসন ও দুদক কর্মকর্তদের উপস্থিতিতে সালামের তালাবদ্ধ কক্ষটি খোলা হয়। আলমারির তালা ভেঙে পাওয়া যায় জাল চেক, সিল ও প্যাড।

যশোর শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. আহসান হাবীব বলেন, ‘তদন্ত কমিটির সুপারিশে বৃহস্পতিবার আবদুস সালামকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারি শৃঙ্খলা লংঘন ২০১৮-৩ (ঘ) এবং শিক্ষা বোর্ডের আইন ১৯৯৯ এর ৩৫ উপবিধি ঙ ২ (ক) ধারায় তাকে বরখাস্ত করা হয়।’

বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ‘২৫ জুন আমরা চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে আবদুস সালামের যোগসাজশে ৭ কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। তিনি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ।’

যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘প্রথমে টাকা লোপাটের ঘটনা আমাদের সহযোগিতায় উদঘাটন হয়েছিল। তৎকালীন চেয়ারম্যানের বাধার মধ্যেও আমরা দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হই।’

এ বিভাগের আরো খবর