বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কোরবানির সংখ্যা বৃদ্ধি মানুষের সামর্থ্য বাড়ার প্রমাণ: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২২ ১৫:৩৭

‘শুধু তাই নয়, আপনারা দেখেছেন কোরবানি বেশি হলেও তার সবটাই দেশীয় পশুতেই সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের যে প্রয়োজন সেটি আমরা নিজেরাই মেটাতে পারছি। অর্থাৎ প্রাণিসম্পদেও বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে। আর এগুলো প্রমাণ করে সরকারের বহুমুখী উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে মানুষ।’

এবার আগের বছরের চেয়ে সাড়ে ৮ লাখ বেশি পশুর কোরবানি হওয়াটাকে দেশবাসীর সামর্থ্য বাড়ার প্রমাণ হিসেবে দেখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘এ বছর দেশবাসী সবার কোরবানির ঈদ উদযাপন বেশ ভালো হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ৮ লাখের বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। এই বিপুলসংখ্যক বাড়তি কোরবানি প্রমাণ করে দেশের মানুষের সামর্থ্য বেড়েছে।’

বুধবার ‘এক নজরে বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ মোড়ক উন্মোচন ও সাংবাদিকদের সাথে ঈদ-পরবর্তী মতবিনিময়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যদিও গত বছরের তুলনায় এ বছর কোরবানির পশুর দাম অনেক বেশি ছিল। তা সত্ত্বেও ৮ লাখ বেশি পশু কোরবানি হয়েছে। অর্থাৎ এই করোনা মহামারির মধ্যে এবং বৈশ্বিক সংকটে যখন একটি মন্দা পরিস্থিতি সমগ্র বিশ্বে বিদ্যমান, তখন বাংলাদেশের মানুষের অন্তত কোরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে সামর্থ্য বেড়েছে, এটিই বুঝায়।’

সরকারি হিসাবে এবার সারা দেশে ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩টি পশু কোরবানি হয়েছে। আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি। এই হিসাবে সংখ্যাটি বেড়েছে ৮ লাখ ৫৭ হাজার ৫২১ বেশি।

দেশের সবগুলো হাট এবং অনলাইনে এই পরিমাণ পশু বিক্রি হয়েছে। এই হিসাবে অনলাইনে যেসব পশু বিক্রি হয়েছে, সেগুলোও ধরা আছে।

তবে হাটে না নিয়ে খামারির বাড়ি থেকে বা সড়ক থেকে যে পশু বিক্রি হয়েছে, সেগুলো এই হিসাবের বাইরে। সে হিসাবে প্রকৃত কোরবানি এর চেয়ে বেশি।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কোরবানি দেয়া হয়েছে গরু ও মহিষ। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি ৪৬ লাখ ২৯ হাজার ৪৩৬টি। এর মধ্যে সিংহভাগই গরু নিশ্চিত হলেও কতগুলো মহিষ, সেই সংখ্যাটি আলাদাভাবে হিসাব করেনি সরকার।

অন্যদিকে ছাগল ও ভেড়া কোরবানি হয়েছে ৪২ লাখ ২০ হাজার ৮২০টি। এই হিসাবেও কতগুলো ভেড়া তা আলাদাভাবে চিহ্নিত হয়নি।

সারা দেশে বাড়লেও বন্যা আক্রান্ত সিলেট বিভাগে এবার কোরবানি কম হয়েছে। আগের বছর এই বিভাগে পশু হয়েছিল ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৪১টি। এবার হয়েছে ৩ লাখ ৯২ হাজার ৫৮৩টি। অর্থাৎ কমেছে প্রায় ৯৭ হাজার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘শুধু তাই নয়, আপনারা দেখেছেন কোরবানি বেশি হলেও তার সবটাই দেশীয় পশুতেই সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের যে প্রয়োজন সেটি আমরা নিজেরাই মেটাতে পারছি। অর্থাৎ প্রাণিসম্পদেও বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ হচ্ছে। আর এগুলো প্রমাণ করে সরকারের বহুমুখী উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে মানুষ।’

এ বিভাগের আরো খবর