নেত্রকোণার সদরে মারধরের শিকার উপজেলা শ্রমিক লীগের নেতার মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঘটনার পর আটক রিপন ফকিরকে বুধবার সকালে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
নেত্রকোণা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ৩৮ বছরের আয়েতুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার কুনিয়া গ্রামে। শ্রমিক লীগের সদর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, আয়েতুল কুনিয়া গ্রামের সড়কে একটি মনোহারি দোকান চালাতেন। ১০/১২ দিন আগে পার্শ্ববর্তী কাঞ্চনপুর গ্রামের রিপন ফকিরের ছেলে মাহি তার দোকান থেকে ৩০ টাকার সওদা নেন। ১০০ টাকার নোট দিলে বাকি টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্ক হয়।
এর জেরে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আয়েতুলের দোকানে গিয়ে বিতণ্ডায় জড়ান রিপন। একপর্যায়ে আয়েতুলকে কিল-ঘুষি ও চেয়ার দিয়ে আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বজনরা নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ‘বুধবার সকালে আয়েতুলের স্ত্রী সাবিনা আক্তার অভিযুক্ত রিপন, তার ছেলে মাহি ও অজ্ঞাত পরিচয় ২/৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতেই জেলা শহর থেকে আটক রিপনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
তবে রিপনের দাবি, তিনি আয়েতুলকে কোনোরকম মারধর করেননি। আয়েতুল আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
তার ভাষ্য, আয়েতুলের সঙ্গে মাহির ঝামেলার কারণ, সেদিন মাহি ৩০ টাকার সওদা নিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে বাকি টাকা ফেরত চান। কিন্তু আয়েতুল দাবি করেন তাকে ১০০ টাকা দেয়া হয়নি। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক বাঁধে।
আয়েতুলের স্ত্রী নিউজবাংলাকে বলেন, সেদিন রিপন সওদা নিয়ে তার স্বামীকে টাকা না দিয়েই টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন।