বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কমলাপুরে ঢাকামুখী মানুষের চাপ

  •    
  • ১৩ জুলাই, ২০২২ ১১:৪৪

স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন বলেন, ‘ফেরার ট্রেনে তেমন দেরি নাই। কিন্তু নীলসাগর এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় ফিরেছে। এ ছাড়া সব ট্রেন সঠিক সময়ে এসেছে এবং সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে।’

কমলাপুর রেলস্টেশনে ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। ঈদের ছুটি শেষে মঙ্গলবার থেকে অফিস শুরু হলেও গতকাল তেমন একটা চাপ ছিল না বাড়িফেরা মানুষের। তবে এক দিন পরই সেই চাপ অনেকটা বেড়ে গেছে ঢাকার প্রধান রেলস্টেশনে।

বুধবার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ঈদ শেষে ট্রেনে চেপে ঢাকায় ফিরছেন মানুষ। ট্রেনে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও গাদাগাদি নেই বলে জানান তারা। ফেরার পথে নির্দিষ্ট স্টেশন থেকে সময়মতো ট্রেন ছেড়েছে বলেও জানান যাত্রীরা।

শুধু যাত্রীরা ফিরছেন না, একই সঙ্গে অনেকেই ঢাকাও ছাড়ছেন, ঈদের পরে হলেও যাচ্ছেন গ্রামের বাড়িতে।

নীলসাগর এক্সপ্রেসে সৈয়দপুর থেকে ট্রেনটি এক ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় পৌঁছে। ওই ট্রেনের যাত্রী হাফিজুর রহমান শান্ত বলেন, ‘ট্রেনের মধ্যে অতিরিক্ত যাত্রী চাপ ছিল না। স্বাভাবিক সময়ের মতোই মনে হয়েছে আজ। ঈদের আগে যেমন যাত্রী চাপ ছিল তেমনটি দেখিনি। যেখানে বগিতে পা ফেলার জায়গা ছিল না, সেখানে ফেরার পথে এক বগিতে ৫-৬ জন দাঁড়িয়ে আসতে দেখেছি।’

তিনি জানান, খুব সহজেই ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি। তবে ফেরার নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা দেরিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছেছেন।

জামালপুর থেকে যমুনা এক্সপ্রেসে কমলাপুরে আসা যাত্রী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। ছুটি শেষে আবার ঢাকায় ফিরেছি। ট্রেনে কোনো ভিড় নেই, নেই কোনো যাত্রী চাপ। নির্বিঘ্নেই ঢাকায় পৌঁছেছি।’

খুলনা থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ঢাকায় ফিরেছেন ফয়সাল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘কোনো যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখিনি। ট্রেন খুলনা থেকে সঠিক সময়ে ঢাকায় ফিরেছে।’

কমলাপুর স্টেশন হয়ে এখনও অনেকেই গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন, এই সংখ্যা অন্যবারের চেয়ে বেশি বলে জানান স্টেশনের কর্মকর্তারা।

তানজিলা রহমানসহ তার পরিবারের ২১ জন যাবেন টাঙ্গাইল। বললেন, ‘আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছি। সেখানে আমরা একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেব।’

মামুনুর রশীদ যাবেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর। সেখানেই বাড়ি তার৷ তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদে গ্রামের বাড়িতে যাইনি, কারণ তখন যাত্রীদের ঘরে ফেরায় অনেক চাপ ছিল। এখন ট্রেনে চাপ নেই, তাই এখন যাচ্ছি। আমরা পরিবারের ৪ জন যাচ্ছি।’

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আফসার উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল পৌনে ১০টা পর্যন্ত ১১টি ট্রেন প্রবেশ করেছে ঢাকায়। ১১টি ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। আজ ঢাকার বাইরে যাওয়ার যাত্রী স্বাভাবিক। তবে ঢাকায় ফেরা যাত্রী বেড়েছে। আগামী শুক্র ও শনিবার ঢাকায় ফেরা এই যাত্রী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হবে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে, তবে ঈদের পরও ঢাকার বাইরে যাওয়া মানুষের যে চাপ ছিল সেটা কমে গেছে।’

ফেরার সময় ট্রেনের তেমন দেরি নাই বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফেরার ট্রেনে তেমন দেরি নাই। কিন্তু নীলসাগর এক্সপ্রেস ১ ঘণ্টা বিলম্বে ঢাকায় ফিরেছে। এ ছাড়া সব ট্রেন সঠিক সময়ে এসেছে এবং সঠিক সময়ে ছেড়ে গেছে।’

তিনি জানান, বুধবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ৪১ জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে।

মঙ্গলবার সিলেটের সঙ্গে দেশের অন্যান্য জায়গায় যে রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছিল তা স্বাভাবিক হয়েছে জানিয়ে আফসার উদ্দিন বলেন, ‘সিলেটের ওই ঘটনার কারণে মঙ্গলবার রাতে ট্রেনগুলো দেরিতে ঢাকায় পৌঁছলেও বুধবার সঠিক সময়ে ঢাকায় এসেছে। তবে কয়েকটি ট্রেনের অল্প কিছু দেরি হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর