কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ইউনাইটেড হাসপাতাল অ্যান্ড অর্থোপেডিক্স সেন্টারে নার্সের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মৃত রিমা প্রামাণিকের বাবা সেন্টু প্রামাণিক মঙ্গলবার দুপুরে ভৈরব থানায় দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হানিফুর রহমান সুমনকে। এ ছাড়া এজাহারে নাম উল্লেখ আছে নার্স লিজা আক্তারের।
ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রেজওয়ান দীপু নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) ভোররাতে হাসপাতালের পরিচালক হানিফুর রহমান সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
রিমার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।
সোমবার সকাল ৯ টার দিকে ওই হাসপাতাল থেকে রিমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রিমার বড় বোন তনিমা প্রামাণিক সেদিন নিউজবাংলাকে জানান, রিমা দুই বছর ধরে এই হাসপাতালে নার্স হিসেবে কাজ করছেন। বুধবার হাসপাতাল থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিল। শনিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ফোনে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে ফেরেন রিমা। পরে সোমবার ভোরে হাসপাতাল থেকে ফোন করে তাকে জানানো হয় তার বোন আত্মহত্যা করেছেন।
তনিমা বলেন, ‘আমি এসে তাকে দেখি তার গলায় দাগ। বিষয়টি রহস্যজনক।’
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হানিফুর রহমান সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সে জীবিত আছে ভেবে তাকে নামিয়ে আনেন লিজাসহ অন্য সহকর্মীরা।’ রিমা আত্মহত্যা করার আগে একটি চিরকুট লিখে গেছে জানিয়ে হানিফুর রহমান বলেন, ‘তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় এ কথাও লিখে গেছে। রিমা কী কারণে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়টি বুঝতে পারছি না।’
মামলার বাদী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাসপাতালের বিছানায় রিমার মরদেহ পড়ে ছিল। সে যদি ঝুলে আত্মহত্যা করে পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াই তারা মরদেহটি কেন নামাল?’তিনি বলেন, ‘তাকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। আমি গতকাল না বুঝে অপমৃত্যু মামলা করেছিলাম। আজ আবার হত্যা মামলা করেছি। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’